টাকা নিয়ে সন্তানদের দ্বন্দ্ব, ৪০ ঘণ্টা পর বাবার লাশ দাফন টাকা নিয়ে সন্তানদের দ্বন্দ্ব, ৪০ ঘণ্টা পর বাবার লাশ দাফন – ajkalbd24.com
  1. admin@ajkalbd24.com : admin : H.M Aslam
  2. akazadjm@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  3. ajkalbd24.com@gmail.com : ajkalbd24 : Niaz Mohammad
  4. hafijakhan804@gmail.com : hafija khan : hafija khan
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সাংবাদিক সমন্বয় পরিষদ বরিশাল’র নির্বাচন অনুষ্ঠিত। সভাপতি আলহাজ্ব কে.এম তারেকুল আলম অপু সাধারন সম্পাদক মোঃ অলিউল ইসলাম – ঝালকাঠির শ্রেষ্ঠ সম্মাননা পুরষ্কার পেল বন্ধুমহল ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি নলছিটিতে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা হেফাজতের নলছিটি উপজেলার কমিটি গঠন : সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সম্পাদক হানযালা নোমানী নলছিটিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস পালিত বিজয় দিবসে নলছিটিতে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প নলছিটিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত নলছিটি উপজেলা প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন , মোহসীন আহবায়ক, মিঠু সদস্য সচিব  নলছিটিতে বিএনপি নেতা গিয়াস মাঝির স্মরণ সভা  সাংবাদিক মিলন কান্তি দাসের পিতার ৪০তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ

টাকা নিয়ে সন্তানদের দ্বন্দ্ব, ৪০ ঘণ্টা পর বাবার লাশ দাফন

Reporter Name
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৫৪ সময় দর্শন

মনির আহমদ (৬৫)। পদ্মা অয়েল কোম্পানির সাবেক কর্মকর্তা। ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় চট্টগ্রাম নগরীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এরপর তার মরদেহ হাসপাতাল থেকে নিয়ে এসে কর্ণফুলী উপজেলার বাড়ির সামনের সড়কে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্সে রাখা হয়। রাতে লাশ বাড়িতে আনার পরপর বাবার পেনশনের টাকা ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে বিবাদে জড়ান তার সন্তানরা। লাশ সামনে রেখেই সালিশে বসেন ইউএনও এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। সালিশে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যায়। সন্তানদের এমন কাণ্ডে হতবাক হয়ে পড়েন উপস্থিত জনপ্রতিনিধিরা। পরে ইউএনও ও জনপ্রতিনিধিরা পেনশনের টাকা সমবণ্টনের আশ^াস দিলে লাশ দাফনের অনুমতি দেয় সন্তানরা। অবশেষে দীর্ঘ ৪০ ঘণ্টা পর মনির আহমদের লাশ দাফন করা হয়

আজ সকাল ১০টায় বৃদ্ধের নিজ বাড়িতে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সকাল ১১টার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।

বড় উঠান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল আলম জানান, অবসরের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে বৃদ্ধ মনির আহমদের (৬৫) লাশ সড়কে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্সে ফেলে রেখে শনিবার রাত থেকে বিরোধে জড়ায় তার সন্তানরা। রোববার রাত পর্যন্ত লাশ সড়কেই পড়ে থাকে। পরে জনপ্রতিনিধিরা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ বৃদ্ধের লাশ দাফনের পর তার অবসরের টাকা ছেলে-মেয়েদের মধ্যে সমবণ্টনের আশ্বাস দিলে বৃদ্ধের ছেলেরা লাশ দাফনের অনুমতি দেন।

এর আগে মৃত মনির আহমদের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪০) বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমার বাবা পদ্মা অয়েল কোম্পানিতে চাকরি করতেন। অবসরে এসে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হন। আমার মেজ বোন বেবি আকতার আমার বাবাকে চিকিৎসার জন্য মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার নাম করে এবি ব্যাংকে নিয়ে গিয়ে ৩০ লাখ টাকা তোলেন। আমার ছোট ভাই সৌদি প্রবাসী আলমগীর দেশে আসার জন্য রওনা হয়েছে। সে আসার পর টাকার সমঝোতার পর বাবার দাফন করা হবে।

স্থানীয়রা জানান, মনির আহমদের অবসরের টাকা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুই ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে মেজ মেয়ে বেবি আকতারের সঙ্গে অন্য ভাইবোনদের বিরোধ চলছিল। শনিবার তাদের বাবা মারা যাওয়ার পর এ নিয়ে রোববার সকালে ইউপি সদস্যসহ স্থানীয় ব্যক্তিদের নিয়ে সামাজিক বৈঠকও হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মারা যাওয়ার পর শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্সে এনে লাশ রেখে দেন বাড়ির পাশের সড়কে। সকাল থেকে অবসরে টাকা ভাগভাটোয়ারা নিয়ে ভাইবোনদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ চলে।

ইউপি সদস্য মো. সাইফুদ্দিন বলেন, মনির আহমদের অবসরের টাকা ব্যাংক থেকে উঠিয়ে ফেলার অভিযোগ এনে ভাইবোনের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। লাশ এখন পর্যন্ত সড়কে রয়েছে।

ভাইয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে বেবি আকতার বলেন, আমার বাবার অবসরের কোনো টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করিনি। তাদের অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।

মনির আহমদের ছোট মেয়ে লিপি আকতার জানান, আমার বাবা ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে আমরা তিন বোন মিলে বাবার চিকিৎসা খরচ বহন করছি। এক ভাইও কোনো সহযোগিতা করেনি। অবসরের টাকার বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে অবসরের টাকার বিষয় তুলে বাবার লাশ দাফন করতে দিচ্ছে না।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর