বরিশালে পাওনা টাকা নিতে নারী কাপড় ব্যবসায়ী ধর্ষণের শিকার
নিজস্ব প্রতিবেদক:::বরিশালে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক নারী কাপড় ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জসিম মিয়া ওরফে জসিম ফকির রাজীব (৩৫) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার জসিম ফকির রাজীব ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার মগড় ইউনিয়নের মেরুহার গ্রামের হারুন মিয়া ওরফে হারুন ফকিরের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে ভুক্তভোগী ওই নারীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানা হয়েছে।
এরআগে দুপুর ওই নারী নিজেই বাদি হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন।মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ওই নারী খুলনায় কাপড়ের ব্যবসা করেন। বিভিন্ন সময় নলছিটির মগড় ইউনিয়নের কাঠিপাড়া গ্রামের মৃত ধলু খানের ছেলে আব্দুল মালেক (৫৫) ওই নারীর কাছ থেকে পাইকারি ধরে কাপড় ক্রয় করেন। একপর্যায়ে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা বকেয়া হলে পাওনা টাকা নিতে আব্দুল মালেক ওই নারীকে বরিশাল আসতে বলেন। গত ২৮ নভেম্বর তিনি বরিশাল রূপাতলী বাসস্ট্যান্ডে এলে রাজীব তাকে রিসিভ করে একটি খাবার হোটেলে ভাত খাওয়ায়। অনেক সময় অপেক্ষার পর রাজীব মোবাইলফোনে আব্দুল মালেকের সঙ্গে কথা বলে ওই নারীকে জানান, ‘মালেক দোকানের মালামাল ক্রয় করতে গেছে। আসতে দেরি হবে’।
এরপর রাজীব ওই নারীকে নগরীর চাঁদমারি এলাকায় সিটি প্যালেস নামে একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যায়। রাত ৮টার দিকে ৯ বছর বয়সী ওই নারীর ছেলেকে হোটেলের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে আটকে রেখে পার্শ্ববর্তী একটি কক্ষে তাকে ধর্ষণ করে রাজীব। ধর্ষণের পর আব্দুল মালেকের ঠিকানা দিয়ে ওই নারীকে হোটেলে রেখে রাজীব চলে যায়। পরবর্তীতে খুঁজতে খুঁজতে রাত ১১টার দিকে নলছিটির আমিরাবাদ স্কুলের সামনে গেলে আব্দুল মালেক ও তার সহযোগি মেরুহার গ্রামের মৃত মোখলেছ হাওলাদারের ছেলে জালাল হাওলাদার (৫০) ওই নারীকে রিসিভ করে ভ্যানযোগে স্থানীয় আনিচের দোকানের সামনে নিয়ে যায়। পরে তারা টানাটানি করে দোকানে ঢুকাতে চাইলে ওই নারীর ডাকচিৎকারে সোহাগ নামে এক মোটরসাইকেল চালক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
পরবর্তীতে তার মোটরসাইকেল করে ওই নারীকে আমিরাবাদ স্কুলের সামনে পৌঁছে দেয় সোহাগ। এরপর অটোযোগে বরিশালে আসেন ওই নারী।
কোতোয়ালি মডেল থানার কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার রাজীবকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply