লুৎফুর রহমান ক্যাডেট মাদরাসার কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অভিভাবকদের।
~~মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে অভিযোগ দায়ের,দুদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন ভুক্তভোগীরা~~
স্টাফ রিপোর্টার – বরিশালে লুৎফর রহমান ক্যাডেট মাদরাসা নামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলছে রমরমা ভর্তি বাণিজ্য।নার্সারি থেকে শুরু করে দশম শ্রেণী পর্যন্ত বিভিন্ন অজুহাতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া হয় মোটা অংকের ভর্তি ফি,সেশন চার্জ,সংস্থাপন চার্জ , উন্নয়ন ফি সহ টাকা আদায়ের মহা উৎসব;এমনটাই অভিযোগ অভিভাবক মহলের।
একজন ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীর বাবা ইসমাইল হোসেন নামের ব্যক্তির অভিযোগ অনুযায়ী, ‘এই মাদরাসায় সেশন সার্চ ১৫০০ টাকা, সংস্থাপন চার্জ ১৫০০ টাকা,উন্নয়ন ফি সকল (ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রযোজ্য)২০০০ টাকা আইডি কার্ড ১২৫ টাকা, আইসিটি ১০০ টাকা, ভর্তি ফি এক হাজার টাকা।
এখানে প্রশ্ন চলে আসে উন্নয়ন ফি ও সংস্থাপন চার্জ নিয়ে।
একজন ছাত্র ছাত্রী প্রতিবছর কেন উন্নয়ন বাবদ ২০০০ টাকা প্রদান করবে?
আবার সংস্থাপন চার্জ ১৫০০ টাকা ধার্য হবে একই সাথে সেশন সার্চ ১৫০০ টাকা, যা একজন সাধারন ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকদের দেয়াটা খুবই কষ্টকর এবং অস্বাভাবিক বেশী চার্জ।তাদের হিসাব মতে প্রতিবছর নার্সারি থেকে শুরু করে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ন্যূনতম ভর্তির সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার ছাত্রছাত্রী। এখানে দেখা যায়, দেড় হাজার ছাত্রছাত্রীর সেশন চার্জ, সংস্থাপন চার্জ,উন্নয়ন ফি সহ মোট টাকা আসে (ভর্তি ফি বাদে)৫০০০টাকা অনুযায়ী ১৫০০ শিক্ষার্থীর বাবদ মোট ৭৫ লক্ষ টাকা।
এখন প্রশ্ন হল,৭৫ লক্ষ টাকা দিয়ে প্রতি বছর মাদ্রাসায় কি পরিমান উন্নয়ন হয়েছে এটা সকলের জানা প্রয়োজন।আবার তাদের ২০০৩ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রকাশিত সাইনবোর্ডে ঋণের তথ্য অনুযায়ী বিশেষ ঋণ ১,৮২,৭২,৩৮৭ টাকা,বিভিন্ন ব্যক্তির হতে নেয়া ঋণ ৫৪,৯৬,৫১২ টাকা। ‘
একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করেন ‘ মাদ্রাসায় কোন বৈজ্ঞানিক ল্যাব নাই,অথচ ল্যাব চার্জ নেয়।এই মাদ্রাসার আয় ব্যয়ের হিসাবে রয়েছে বিশাল গড়মিল।এখানে কোটি টাকা বছরে কামাই হলেও কোটি টাকা ঋণ থাকে কেন?কার পেটে যায় টাকা? ‘
এ বিষয়ে লুৎফুর রহমান ক্যাডেট মাদ্রাসার পরিচালক এ কিউ এম আবদুল হাকিম মাদানি ও সুপার ইউসুফ আলী জানান ‘আমাদের প্রতিষ্ঠান বেসরকারি।আমাদের চার্জ বেশী মনে হলে অন্যত্র ভর্তি হোক শিক্ষার্থীরা।আয় ব্যয়ের হিসাব আপনাদের দেয়া যাবেনা।’
মাদ্রাসার সভাপতি প্রফেসর একেএম সুলতান এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
Leave a Reply