গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী বাজারে বিএনপির পদযাত্রা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিসে হামলায় অংশ নেওয়া সেই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত ওই যুবকের নাম জাহিদুল ইসলাম জাহিদ(২৪)। জাহিদ ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার সাধুয়া গ্রামের সাইদুর রহমান মীরের ছেলে। তিনি পাঁচ-ছয় বছর আগে বরামা-বরমী এলাকায় এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ভোরে শ্রীপুর উপজেলার বরমী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বরমী ইউনিয়নের বরামা গ্রামের বাসিন্দা আওয়ামীলীগের এক কর্মী জানান, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ প্রায় পাঁচ-ছয় বছর আগে থেকে গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানাধীন নিগুয়ারী গ্রাম থেকে বরমী এলাকায় এসে বসবাস শুরু করেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি বরমী পশ্চিমপাড়া গ্রামের শামসুলের বাড়ির ভাড়াটিয়া।

এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকট হারুন-অর রশিদ ফরিদ বলেন, ‘বিএনপির মিছিল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা করেন জাহিদ নামের বিএনপির এক কর্মী । তা ছাড়া বিএনপি যদি বিষয়টি অস্বীকার করে থাকে, সেটি বিশ্বাসযোগ্য নয়। কারণ, বিএনপির পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে বিএনপির কর্মী হিসেবে জাহিদও উক্ত মিছিলে উপস্থিত ছিল । শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আক্তারুল আলম মাস্টার বলেন, ‘জাহিদ বিএনপি তথা দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কোনও নেতা কর্মী নয়। আগেও তার সঙ্গে বিএনপির কোনও সম্পর্ক ছিল না।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা এবং কার্যালয়ে ভাঙচুরের এ ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পিস্তল উঁচিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হুমকি দিয়েছেন জাহিদ নামের এক যুবক।

এরই মধ্যে তার পিস্তল হাতে থাকা ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।গ্রেফতারকৃত জাহিদ ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার সাধুয়া গ্রামের সাইদুর রহমান মীরের ছেলে। জাহিদের বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতি ও চাঁদাবাজিসহ পাঁচটি মামলা রয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার সানোয়ার হোসেন বলেন, ‘জাহিদুল ইসলাম জাহিদের কাছ থেকে একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তবে অস্ত্রটি আসল না নকল তা ফরেনসিক রিপোর্টের পর নিশ্চিত করে বলা যাবে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।