মিলন কান্তি দাস, নলছিটি,ঝালকাঠি।। মামাতো ভাইয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কে একাধিকবার ধর্ষন। বিয়ের চাপ দেওয়ায় ধর্ষন শেষে নিজেই ফুফাতো বোন স্মৃতিকে হত্যা করেছে।
ঝালকাঠি জেলার নলছিটিতে স্মৃতি আক্তার (৩৫) নামে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা মূল হোতা বাপ্পি সরদার তুষারকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৩০ এপ্রিল রবিবার পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় নলছিটি পৌরসভার চায়না মাঠ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। দুপুরে ঝালকাঠির পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানানো হয়। স্মৃতি হত্যার মূল হোতা বাপ্পি সরদার তুষার মৃত স্মৃতির আপন মামাতো ভাই। সে পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী।
বাপ্পি সরদার উপজেলার মোল্লারহাট ইউনিয়নের কামদেবপুর গ্রামের ফেরদৌস সরদারের ছেলে।
পুলিশ সুপার মো. আফরুজুল হক টুটুল সংবাদ সম্মেলনে জানান,নিহত স্মৃতি আক্তারের সঙ্গে তাঁর আপন মামাতো ভাই বাপ্পি সরদার তুষারের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে বাপ্পি একাধিকবার স্মৃতিকে ধর্ষণ করে। এর ফলে স্মৃতি বাপ্পিকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল। গত ২৫ এপ্রিল রাতে ঘরের দরজা খুলে স্মৃতিকে পাশের একটি ফসলের মাঠে নিয়ে যায় বাপ্পি। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করার পর শ্বাসরোধে করে হত্যা করা হয়। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার তাঁর লাশ ফসলের মাঠে ফেলে পালিয়ে যায় বাপ্পি সরদার।
পরের দিন দুপুরে বাড়ির পাশে ফসলের মাঠ লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তা নিয়ে নিহতের মামাতো ভাই বাপ্পি সরদারকে গ্রেপ্তার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে একাই ধর্ষণ শেষে স্মৃতিকে হত্যার কথা স্বীকার করে।
পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বলেন, এই মামলার মুল আসামীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। সুতরাং আর কাউকে এ মামলায় আসামি করা হবে না। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মঈনুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শংকর দাস ও নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ মু. আতাউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply