উত্তরবঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদনকারী পাবনার সুজানগর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে উঠতে শুরু করেছে নতুন মূলকাটা পেঁয়াজ। বর্তমানে সুজানগর পৌর হাটসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ব্যাপক পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। এতে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম।
বুধবার সুজানগর পৌর হাটে গিয়ে দেখা যায়, পেঁয়াজের আমদানি হয়েছে অনেক। মানভেদে এ নতুন মূলকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫শ থেকে ২ হাজার ৭শ টাকা মণ দরে; যা গত রোববারের হাটে বিক্রি হয় ৩ হাজার ৫শ থেকে ৩ হাজার ৭শ টাকায়। গত বছরের এই সময়ে নতুন এ পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১শ টাকা মণ দরে।
সুজানগর উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সুজানগরে এবার প্রায় ১৬শ হেক্টর জমিতে মূলকাটা পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া ও সঠিক সময়ে সার বীজ দিতে পারায় কৃষকেরা প্রতি বিঘা জমি থেকে ৪০ থেকে ৬০ মণ পর্যন্ত পেঁয়াজ এবার ঘরে তুলছেন।
পৌর হাটে পেঁয়াজ বিক্রি করতে আসা আমজাদ হোসেন নামে এক পেঁয়াজ চাষি বলেন, পেঁয়াজ উৎপাদন করতে প্রতি বিঘায় তাদের শ্রমিক, সার, বিষসহ যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে আর বর্তমানে তারা যে দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন তাতে লাভবান হচ্ছেন।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ী হারুন মণ্ডল জানান, এই উপজেলার বৃহত্তর গাজনার বিল ও চর অঞ্চলে যেহেতু এই মূলকাটা পেঁয়াজ সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয়ে থাকে; তাই চরঞ্চালের পার্শ্ববর্তী শ্যামগঞ্জ, বোনকোলা, রাইপুর ও সুজানগরের পৌর হাট-বাজারেই সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজের আমদানি হয়ে থাকে। আর এই পেঁয়াজের ব্যাপক চাহিদা থাকায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ কেনার জন্য এখানে এসে থাকেন। এই পেঁয়াজ ঘরে বেশি দিন সংরক্ষণ করে রাখা না যাওয়ার কারণে কৃষকরা মাঠ থেকে তুলেই স্থানীয় হাট বাজারে দ্রুত বিক্রি করে থাকেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাফিউল ইসলাম বুধবার যুগান্তরকে জানান, নতুন মৌসুমি এ মূলকাটা পেঁয়াজ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে উঠতে শুরু করায় এখন থেকে আস্তে আস্তে পেঁয়াজের দাম অনেকটাই কমে আসবে। এছাড়া কৃষকরা বর্তমানে তাদের জমিতে দানা পেঁয়াজ রোপণ করতে শুরু করেছেন। এ উপজেলায় দানা পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে। নতুন এ দানা পেঁয়াজ আগামী ৩ মাসের মধ্যেই কৃষক আবার ঘরে তুলতে পারবেন।
Leave a Reply