স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ৬৬১ কোটি ৭৩ লাখ ৫০ হাজার ৫০০ টাকার তেল, ডাল ও গম কিনছে সরকার। এর মধ্যে ৩৪৮ কোটি ৪৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে গম কেনা হচ্ছে। আর ১৪০ কোটি ১৬ লাখ ৬ হাজার টাকার মসুর ডাল এবং ১৭৩ কোটি ১১ লাখ টাকার ভোজ্যতেল কেনা হচ্ছে।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র ৪৩তম সভায় এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবনাসমূহের বিস্তারিত তথ্য সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।
তিনি জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ইউএই’র প্রতিষ্ঠান কেয়ারেল ক্রপ ট্রেডিং এলএলসি’র কাছ থেকে এ গম কিনতে মোট ব্যয় হবে ১৭৫ কোটি ৫ লাখ ৪৯ হাজার ৫০০ টাকা। এতে প্রতিকেজি গমের ক্রয় মূল্য পড়বে ৩৫ টাকা ১ পয়সা। খাদ্য অধিদপ্তর আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে এ গম কিনবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠান এগ্রো ক্রপ ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম কেনার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। এ গম কিনতে মোট ব্যয় হবে ১৭৩ কোটি ৪০ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। আর প্রতি কেজির দাম পড়বে ৩৪ টাকা ৬৮ পয়সা। এ গমও খাদ্য অধিদপ্তর আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে কিনবে।
এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৬ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের ইসলাম ট্রেডিং থেকে এ মসুর ডাল কিনতে মোট খরচ হবে ৬২ কোটি ২৮ লাখ টাকা। প্রতিকেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ১০৩ টাকা ৮০ পয়সা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ভারতের বেঙ্গালুরু থেকে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৮ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। গ্রীণ নেশন বিল্ডার্স’র কাছ থেকে এ মসুর ডাল কিনতে মোট ব্যয় হবে ৭৭ কোটি ৮৮ লাখ ৬ হাজার টাকা। আর প্রতিকেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ১০২ টাকা ৩৬ পয়সা। এ ডালও টিসিবি’র জন্য কেনা হবে।
মসুর ডালের পাশাপাশি তেল কেনার দুটি প্রস্তাব নিয়ে আসে বাণিজ্যমন্ত্রণালয়। এর মধ্যে স্থায়ীভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে বসুন্ধরা মাল্টি ফুড প্রডাক্টস লিমিটেড থেকে ৫০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৭৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা। আর প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম পড়বে ১৫৭ টাকা ২২ পয়সা। টিসিবি’র জন্য এ তেল কেনা হবে।
এছাড়া টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ৬০ লাখ লিটার রাইস বার্ন তেল কেনার অনুমোন দেওয়া হয়েছে। মজুমদার প্রডাক্টস এবং এমআরটি এগ্রো প্রডাক্টস বিডি লিমিটেড থেকে এ তেল কিনতে মোট ব্যয় হবে ৯৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আর প্রতি লিটারের জন্য খরচ হবে ১৫৭ টাকা ৫০ পয়সা।
Leave a Reply