পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা সদরে জাতীয় পার্টি-জেপির অঙ্গসংগঠন জাতীয় মহিলা পার্টির উদ্যোগে আয়োজিত নৌকা মার্কার প্রার্থী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর পক্ষে এক উঠান বৈঠকে দৈনিক ইত্তেফাক ও পাক্ষিক অনন্যা পত্রিকার সম্পাদক এবং সাবেক সংসদ সদস্য তাসমিমা হোসেন বলেছেন, নৌকায় ভোট দিলে দেশ বাঁচবে, মানুষ বাঁচবে, গণতন্ত্র বাঁচবে। নির্বাচনের সুযোগে এক শ্রেণির রাজনীতিবিদ শেখ হাসিনার এবং বঙ্গবন্ধুর দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তাদের অপরাজনীতির কারণে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া দেশের প্রাচীন দল আওয়ামী লীগ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এরা সংসদ নির্বাচনের বিরোধীতাকারীদের চাইতেও বিপদজনক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত ১৪ দল তথা আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থীদের নির্বাচিত করে এই বিপদ থেকে জাতিকে রক্ষা করতে হবে।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকালে কাউখালী উপজেলা সদরে জাতীয় পার্টি-জেপির অঙ্গসংগঠন জাতীয় মহিলা পার্টির উদ্যোগে আয়োজিত নৌকা মার্কার প্রার্থী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর পক্ষে এক উঠান বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
তাসমিমা হোসেন আরোও বলেন, জাতীয় পার্টি-জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বিগত ৩৮ বছর ধরে কাউখালীসহ পিরোজপুর-২ আসনে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন। এই সময় তিনি ৭ বার এমপি হয়েছেন, ৫ বার মন্ত্রিসভায় ছিলেন। সরকারে এবং বিরোধী দলে যখনই যেখানে তার অবস্থান ছিলো তখন নিজের মেধা, প্রজ্ঞা, অভিজ্ঞতা, সক্ষমতা ইত্যাদি গুণকে কাজে লাগিয়েছেন। তিনি নিজের সংসদীয় এলাকা এবং সারা বাংলাদেশের অঞ্চল নির্বিশেষে যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলবায়ু অভিঘাত মোকাবেলা, বনায়ন, ইত্যাদি ক্ষেত্রে তার অবদান ব্যাপক। পাশাপাশি রাজনীতির ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি, ডাকসুর হল সংসদের ভিপি ও জিএস হিসাবে ছাত্রদের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
তাসমিমা হোসেন বলেন, ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে রূপ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে বাস্তবায়ন করতে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্ববহ। এই নির্বাচনের মধ্যদিয়ে সরকারের পরিকল্পনা কার্যকর করতে প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন ও সহযোগিতা দানের জন্য উপযোগী সংসদ ও মন্ত্রিসভা এই নির্বাচনের মধ্যদিয়ে অর্জিত হওয়া প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রীর মনোনয়নে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের যেসব প্রার্থী নৌকা মার্কায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের বিজয়ী করার মধ্যদিয়ে কাঙ্ক্ষিত অর্জনকে নিশ্চিত করতে হবে।
কাউখালীর মানিক মিয়া কিন্ডার গার্টেন চত্বরে নৌকা মার্কার পক্ষে জাতীয় পার্টি-জেপি’র অঙ্গ সংগঠন উপজেলা মহিলা পার্টি’র উদ্যোগে এ উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের উপজেলা সভাপতি আফরোজা আক্তারের সভাপতিত্বে উঠান বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন কাউখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট এ কে এম আব্দুস শহীদ, উপজেলা জাতীয় পার্টি-জেপি’র সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল মাহফুজ পায়েল, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা তালুকদার মো. দেলোয়ার হোসেন, আওয়ামী লীগের উপজেলা সহ সভাপতি বাবু সুনীল কুন্ডু ও যুগ্ম সম্পাদক রেবেকা শাহীন চৈতী ও আওয়ামী যুবলীগের উপজেলা আহ্বায়ক অধ্যক্ষ অলক কর্মকার।
এই নির্বাচনী উঠান বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাউখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী মাসুদ ইকবাল, আওয়ামী লীগ নেতা গৌতম কুমার দাস, ত্রাণ ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শেখ নিয়াজ আহম্মেদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক এবং উপজেলা তাঁতী লীগের আহবায়ক মোস্তফা কামাল রোমান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রিংকু দত্ত, সদস্য কাজী রফিকুল ইসলাম মিরন, চিড়াপাড়া পার-সাতুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিব উদ্দিন পাভেল, উপজেলা যুবলীগের সদস্য সচিব নসির উদ্দিন তালুকদার, যুবলীগের কাউখালী ইউনিয়ন সভাপতি সাদ্দাম কাজী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক সরদার আজমল হোসেন, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু তালুকদার, উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল কবীর তালুকদার লিটন, মহিলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সংগীতা সমদ্দার, যুব মহিলা লীগের মাহাফুজা আক্তার মিলি প্রমুখ।
অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টি-জেপি’র কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির তালুকদার রাজু, কাউখালী উপজেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. নূরুল আমিন, সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট হেমায়েত উদ্দিন তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল হাসান জুয়েল, সমাজকর্মী আব্দুল লতিফ খসরু, জেপি নেতা রাজু আহমেদ ও উপজেলা যুব সংহতির সভাপতি নুরুজ্জামান মনু সাধারণ সম্পাদক শেখ তারিকুল ইসলাম কাইয়ুম, জেপি নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য নেপাল চন্দ্র দে, খান মো. বাচ্চু, মিজানুর রহমান মিজান, জেপি নেতা জাকির হোসেন নসু, জেপি নেতা হারুন অর রশীদ, ডা. মতিউর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি শামীম আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু সাইয়েদ, শ্রমিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক সোহাগ খান, মহিলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক সীমা আকতার, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাফুজা মিলি, ছাত্র সমাজের সভাপতি শামিম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জয়দেব সমাদ্দার প্রমুখ।
Leave a Reply