বরিশালের মুলাদীতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীকে ভীতি প্রদর্শন ও এলাকা ছাড়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে জাতীয় পার্টি (জাপা) এক নেতাকে শোকজ করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে বরিশাল-৩ আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ চন্দন কান্তি নাথ মুলাদী উপজেলা জাতীয় পার্টির সহ-আহ্বায়ক আব্দুল মজিদকে নোটিশ দেন।
আব্দুল মজিদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. আমিনুল হক কবিরের কর্মী তয়কা গ্রামের মো. মোকছেদ আকনকে মোবাইল ফোনে ভয়ভীতি প্রদর্শন, এলাকা ছাড়া করা এবং ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্প ভেঙে ফেলার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় আব্দুল মজিদকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে কেন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিচারক চন্দন কান্তি নাথ।
অভিযোগকারী মোকছেদ আকন জানান, ‘ঈগল প্রতীকের পক্ষে কাজ করায় উপজেলা জাতীয় পার্টির সহ-আহ্বায়ক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ গত ২৫ ডিসেম্বর রাত ১২টার দিকে মোবাইল ফোনে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে ঈগল প্রতীকের পক্ষে প্রচার প্রচারণা করতে নিষেধ করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন এবং নির্বাচনের পর এলাকা ছাড়া করবেন বলেও হুমকি দেন। বিষয়টি ঈগল প্রতীকের প্রার্থী ড. আমিনুল হক কবিরকে অবহিত করে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেছি।’
স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. আমিনুল হক কবির বলেন, ‘কর্মী-সমর্থকেরা আচরণ বিধি মেনে ঈগল প্রতীকের পক্ষে কাজ করছেন। মহাজোট প্রার্থীর পক্ষে জাতীয় পার্টির নেতার হুমকিতে কর্মীদের মাঝে ভীতির সঞ্চার হয়েছে। এতে ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।’
এ ব্যাপারে উপজেলা জাতীয় পার্টির কো-কনভেনর (সহ-আহ্বায়ক) আব্দুল মজিদ বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে ভালো সম্পর্ক থাকায় ২৫ ডিসেম্বর রাতে মোকছেদ আকনকে ফোন দিয়েছিলাম। তাঁকে হুমকি কিংবা ভয়ভীতি দেখানো হয়নি।’
বরিশাল-৩ আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ চন্দন কান্তি নাথ বলেন, ‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়ায় নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে জাতীয় পার্টির নেতা আব্দুল মজিদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাঁকে ২৮ ডিসেম্বর সশরীরে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
Leave a Reply