হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানার এক সহকারী উপ-পরিদর্শকের (এএসআই) বিরুদ্ধে গাঁজার চালান গায়েব করার অভিযোগ উঠেছে। গত ১৯ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটলেও আজ শুক্রবার বিষয়টির জানাজানি হয়।
অভিযুক্ত এএসআই আবু হান্নান চুনারুঘাট থানায় প্রায় আড়াই বছর ধরে কর্মরত রয়েছেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। তার অপকর্মের দায়ে পর পর দু’বার বদলির আদেশ আসলেও জেলা পুলিশের সাবেক এক কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে অদ্যাবধি তিনি থানায় থেকে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন।
গত ৬ মে চুনারুঘাট থেকে বদলি করে আজমিরীগঞ্জ বদলির একটি আদেশ আসে। ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও সেই আদেশ এখনও কার্যকর হয়নি। এখনও বহাল তবিয়তে আছেন উপপরিদর্শক অবু আবু হান্নান।
জানা গেছে, চুনারুঘাট উপজেলার সাটিয়াজুরী ইউনিয়নের পনারগাও গ্রামের কথিত সোর্স কামাল মিয়ার দেওয়া তথ্যমতে, গত ১৯ ডিসম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পনারগাও এলাকায় অভিযানে যান এএসাই আবু হান্নান। ওই সময় চুনারুঘাট থেকে আসা একটি সিএনজি পনারগাও পয়েন্টে থামিয়ে সিএনজি অটোরিকশাটি তল্লাশি করেন। এ সময় সিএনজিতে দুই যাত্রীর হেফাজতে থাকা দুটি বস্তায় পলিথিনে বাঁধা ৩০টি প্যাকেটে অনুমানিক প্রায় ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুইজনকে আটক করা হয়। পরে আটক দুইজনকে মোটা অংকের অর্থ নিয়ে ছেড়ে দেন। ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এতে পুলিশের মধ্যে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
এলাকার চোরাকারবারিদের কাছে তিনি বেশ পরিচিত। কোনো ভুক্তভোগী থানায় দরখাস্ত নিয়ে গেলে তার নিজের নামেই এড্রোস করে যান তদন্তে। এমনকি চোরাচালানের সব টাকাই পাচার হয় তার হাত ধরে। এ কারণে সমাজের সব ধরনের চোলাচালানের নিয়ন্ত্রণও হয় তার মাধ্যমে। সীমান্তের অপকর্মের নানা কাহিনী রটছে মানুষের মুখে মুখে। এছাড়াও জুয়া, গান ও বাজনা বসানো হয় তার নামে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এএসআই আবু হান্নান বলেন, আমি গত ১৯ ডিসেম্বর থানা থেকেই বের হইনি। আমি কিছুই জানি না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে (মাধবপুর সার্কেল) নির্মলেন্দু চক্রবর্তী বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
Leave a Reply