ফেনী-৩ আসনের সোনাগাজী উপজেলার একটি ভোটকেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারের সাথে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা হাজী রহিম উল্লাহর উদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ওই কমিটিকে ঘটনাটি সরেজমিনে তদন্ত করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে অনুরোধ করেছেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের ভোরবাজার অ্যাডভোকেট বেলায়েত হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের দায়িত্ব পালনকালে প্রিজাইডিং অফিসার আমির হোসেন চৌধুরীকে চড় মারেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা হাজী রহিম উল্লাহ। এছাড়া গালিগালাজ ও হুমকি দেন তিনি। তার এমন আচরণের ঘটনা তদন্তের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তা মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেন।
কমিটিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (রাজস্ব) আহ্বায়ক, সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব ও পুলিশের সোনাগাজী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার, সোনাগাজী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, সোনাগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) সদস্য করা হয়েছে।
প্রিজাইডিং অফিসার আমির হোসেন বলেন, ওই কেন্দ্রে তিন হাজার ৬৫৮ মহিলা-পুরুষ ভোটার রয়েছে। নারী-পুরুষের ভোটগ্রহণের জন্য ৮টি বুথ ছিল। সকাল থেকে ভোটাররা সুশৃঙ্খলভাবে ভোট দিচ্ছিলেন, হঠাৎ করে ঈগল মার্কার প্রার্থী হাজী রহিম উল্যাহ ৭-৮ জন যুবক নিয়ে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে আমাকে কেন্দ্র থেকে বের করে জিজ্ঞেস করলেন, জাল ভোট কেন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন? এমন কথা বলে তিনি রিটার্নিং অফিসারকে ফোন করে আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ভাবে মৌখিক অভিযোগ দেন। আমি এমন নির্দেশ দিইনি বলা মাত্রই হাজী রহিম উল্যাহ আমার মুখে থাপ্পড় মেরে ডান চোখে আঘাত করেন। পরে তিনি গালাগালি করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যান।
ঈগল মার্কার প্রার্থী হাজী রহিম উল্যাহ বলেন, প্রিজাইডিং অফিসার জাল ভোট দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। এজন্য উনার বিরুদ্ধে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে মৌখিক ভাবে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply