মিলন কান্তি দাস নলছিটি,ঝালকাঠি:-অলিম্পিক যুব গেমস-২০২৩ এ দেশের জন্য কারাতে স্বর্ণ পদক জয় করে নিয়ে আসছে নলছিটির কৃতি সন্তান মিথিলা আহমেদ মৌ। বাংলাদেশের গর্ব মিথিলা যুব কারাতে প্রতিযোগিতায় সকল প্রতিযোগীকে পিছনে ফেলে স্বর্ণ পদক জয় করে সারা ফেলে দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার মোল্লারহাট ইউনিয়নের পশ্চিম কামদেবপুর গ্রামের মোহম্মদ মিলন হোসেন ও শাপলা আক্তারের বড়ো মেয়ে মিথিলা আহমেদ মৌ। মৌ ২০২২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৩তম জাতীয় কিকবক্সিং চ্যাম্পিয়ানশিপে গোল্ড মেডেল অর্জনের মাধ্যমে কারাতেতে যাত্রা শুরু করে। এরপর থেকে একে একে ঢাকা বিকেএসপিতে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল কারাতে প্রতিযোগীতায় গোল্ড মেডেল,২০২৩ সালের অনুষ্ঠিত অলিম্পিক যুব গেমস কারাতে প্রতিযোগীতায় গোল্ড মেডেলসহ সবশেষ ভিখারুন্নেসা কারাতে প্রতিযোগীতায়ও গোল্ড মেডেল অর্জন করেন। গোল্ড মেডেল এছাড়াও মৌএর পুরস্কারের ঝুলিতে আছে ২টা ব্রোঞ্জ ও ৩টা সিলভার মেডেল।
নিভৃত পল্লী মোল্লারহাটের গন্ডি পেরিয়ে এই তরুনির সফলতা দেশ-বিদেশেও আলো ছড়াচ্ছে। মিথিলার সফলতার গল্প জিম্বাবুয়ের
নামকরা পত্রিকা The Herald Sport ও জনপ্রিয় নিউজ চ্যানেল zbc news প্রকাশ করেছে।
মিথিলা আহমেদ মৌ’র সাথে আলাপ হলে তিনি বলেন, কিশোর কিশোরদের মধ্যে আত্মপ্রত্যয় ও আত্মবিশ্বাস সৃষ্টিতে “কারাতে” গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই প্রশিক্ষন গ্রহন করলে নিজের আত্মরক্ষা নিজে থেকেই সহজে করা যায়। শক্রসহ যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবেলা করতেও নারীদের কারাতে প্রশিক্ষন জরুরি।
এক প্রশ্নের জবাবে মিথিলা বলেন,আমার মায়ের কাছ থেকেই আমি কারেতে শেখার অনুপ্রেরণা পেয়েছি। ২০২২ সাল থেকে কারাতে প্রশিক্ষনের সাথে জরিত আছি। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে ব্লাকবেল্ট অর্জন করি। এখন আমার মূল লক্ষ্য অলিম্পিক গেমসে্ অংশগ্রহণ করে দেশের জন্য স্বর্ণ জয়। তিনি আরো বলেন, আমি ইতিমধ্যে এশিয়া মহাদেশর ৭টি দেশে কারাতে প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছি। এছাড়াও আমি কারাতে প্রশিক্ষনের পাশাপাশি সাভার শুটিং ক্লাবে নিয়মিত শুটিং প্রাকটিস করে থাকি।
কারাতে স্বর্ণ বিজয়ী মিথিলা ২০০৮ সালের ১৩ আগষ্টোবর ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার মোল্লারহাট ইউনিয়নের পশ্চিম কামদেবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মোহম্মদ মিলন হোসেন কুমিল্লার একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেন। ২ ভাই বোনের মধ্য মিথিলা ছোট। সে নলছিটির ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিজি ইউনিয়ন একাডেমি থেকে এসএসসি পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ করবে জানায়।
আর্থিক সহযোগীতা, উপযুক্ত প্রশিক্ষন এবং প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেলে নলছিটির এই তরুনি একদিন বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের নাম সমুজ্জল করবে। প্রশাসনসহ ক্রীড়া ক্ষেতে যারা সব সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন তারা মিথিলার পাশে দাঁড়ালে সে একদিন সফল হবে। এলাকাবাসীও এমনটাই প্রত্যাশা করেন।
Leave a Reply