চিকিৎসাশাস্ত্রে পেশাগত দক্ষতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ ডক্টর অব মেডিসিন (এমডি) ও মাস্টার্স অব সার্জারি (এমএস) রেসিডেন্সি কোর্স। এসব কোর্স শেষে একজন চিকিৎসক নির্ধারিত বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে ওঠেন। দেশের সব মেডিকেল কলেজের এমডি ও এমএস কোর্সের পরীক্ষা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধীনে অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার পুরো প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে এ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সাধারণত সরকারি হাসপাতাল ও বিএসএমএমইউতে কর্মরত মেডিকেল অফিসারদের ক্ষেত্রে নিয়ম হলো, দুই বছর হাসপাতালে সেবা দেওয়ার পর কোর্সের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। তবে, প্রান্তিক অঞ্চল বা বেসিক অনুষদের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এক বছর হলেও আবেদনের যোগ্য হবেন। এমনকি উচ্চ শিক্ষার জন্য নিয়ম মেনে কোর্সে অংশগ্রহণ করলে কোর্স চলাকালীন মেডিকেল অফিসাররা বেতনসহ শিক্ষাছুটি পাবেন।জানা গেছে, এমডি/এমএস-২০২২ রেসিডেন্সি কোর্সে ভর্তির বিজ্ঞপ্তিতে বিএসএমএমইউ’র মেডিকেল অফিসারের ক্ষেত্রে দুই বছর সেবাদানের বিষয় উল্লেখ থাকলেও ২০২৩ ও ২০২৪ সালের ভর্তির বিজ্ঞপ্তি থেকে তা উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি বিজ্ঞপ্তিতে বিএসএমএমইউ’র মেডিকেল অফিসারদের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো নিয়ম উল্লেখ নেই।
এ সুযোগে দুই বছরের শর্তপূরণ না করেই কোর্সে ভর্তি হচ্ছেন অন্যান্য মেডিকেল অফিসাররাও।অভিযোগ উঠেছে, বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ তার ছেলে ও ছেলের বউকে বিশেষ সুবিধা দিতে নির্ধারিত সময়ের আগে কোর্সের সুযোগ করে দিয়েছেন, যা বিশ্ববিদ্যালয় আইনের পরিপন্থি।এদিকে, কোর্সের সময় কমানোর বিষয়টি শিক্ষার্থীদের স্বার্থে ‘রিল্যাক্স করে দেওয়া’ হিসেবে উপস্থাপন করলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় আইন না মেনে কোর্সে ভর্তির ফলে শুধু মেধাবীরাই বঞ্চিত হচ্ছেন না, বরং বিএসএমএমইউ’র রেসিডেন্সি সিস্টেমের গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘তথ্য গোপন করে আবেদন, অ্যাডমিট কার্ড নেওয়া, পরীক্ষায় বসা বা উত্তীর্ণ হলেও তা অবৈধ এবং তার কোর্স বাতিল হবে’।
এমডি/এমএস কোর্সে ভর্তিতে বিএসএমএমইউ’র মেডিকেল অফিসারদের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো নিয়ম উল্লেখ না থাকায় এর সুযোগ নিচ্ছেন অন্যান্য শিক্ষার্থীও। গত ২৪ নভেম্বর বিএসএমএমইউ’র এমডি/এমএ-২০২৪ রেসিডেন্সি কোর্সে ভর্তি পরীক্ষা শেষে অভিযোগ ওঠে; বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন মেডিকেল অফিসার তথ্য গোপন করে কোর্সের জন্য আবেদন করেছেন। ভর্তির ফল প্রকাশ হলে দেখা যায়, বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রথম হওয়া পাঁচজনের কারোরই মেডিকেল অফিসার হিসেবে দুই বছর পূর্ণ হয়নি। সর্বশেষ তথ্য মতে, এসব শিক্ষার্থীর ভর্তি কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
ডা. ফারহানা খানম ফারহা, তিনি বিএসএমএমইউ উপাচার্যের পুত্রবধূ। এমডি/এমএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় পেডিয়াট্রিকসে প্রথম হয়েছেন। তিনিও গত বছরের জানুয়ারিতে মেডিকেল অফিসার পদে যোগদান করেন। সার্বিক বিষয়ে জানতে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
ডা. লাবিবা চৌধুরী। গত বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি তিনি মেডিকেল অফিসার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। সেই হিসেবে তার চাকরির বয়স এক বছরও হয়নি। ডা. লাবিবা এ বছর অটোল্যারিংগোলজি বিষয়ে এমএস কোর্সে প্রথম হয়েছেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরীক্ষা দিতে তো কোনো বাধা নেই। যেহেতু শর্তপূরণ ছাড়াই পরীক্ষা দিয়েছি, তাই পাস করলেও কর্তৃপক্ষ কোর্সে যোগদান করতে দেবে না। তবে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনিও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
ডা. মো. সৌমিক আনাফ, গত বছরের ১৪ জানুয়ারি সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। সেই হিসাবে তারও এক বছর পূর্ণ হয়নি। এমডি/এমএস ফেজ-এ রেসিডেন্সি প্রোগ্রামের পরীক্ষায় তিনি প্রথম হয়েছেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিজ্ঞপ্তির ৬নং ধারায় উল্লেখ আছে, রেগুলার চিকিৎসকরা রেসিডেন্সি কোর্সে অংশ নিতে পারবেন। বিএসএমএমইউ-তে যোগদানের ছয় মাসের মধ্যে নিয়মিত হওয়ার জন্য পরীক্ষা দেওয়া যায়। প্রকৃত অর্থে আদৌ সেই সুযোগ নেই।
একইভাবে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে কর্মরত মেডিকেল অফিসার ডা. নিজাম উদ্দীন শাওন ইউরোলজি বিভাগে প্রথম হয়েছেন। তিনি ২০২২ সালের আগস্টে চাকরিতে যোগদান করেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, রেগুলার মেডিকেল চিকিৎসক হলেই কোর্সে অংশ নেওয়া যায়। আমি সাত থেকে আট মাস আগে রেগুলার হয়েছি। তাছাড়া, বিএসএমএমইউতে দুই ও তিন বছরের ছুটি আছে। এ সময় অনেকে কোর্সটি করেন।ডা. সাইফুল হাই এমএস অর্থোপেডিক্সে প্রথম হয়েছেন। তিনিও গত বছরের জানুয়ারিতে যোগদান করেন।
সন্তানদের জন্য কি না করছেন শারফুদ্দিন!
অভিযোগ আছে, উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শারফুদ্দিন আহমেদের ছোট ছেলে ডা. তানভীর আহমেদ সম্পূর্ণ বিধিবহির্ভূতভাবে একটি কোর্স সম্পন্ন হওয়ার পর দুই বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই আরেকটি কোর্সে ভর্তি হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী চাকরি পাওয়ার দুই বছর আগে শিক্ষাছুটি লাভ করেছেন কেবল উপাচার্যের সন্তান হওয়ার কারণে।
অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদের বড় ছেলে ডা. তাজবীর আহমেদ। বাবার ক্ষমতাবলে বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিকেল অফিসার হিসেবে চাকরি পাওয়ার পর পাঁচ বছরের শিক্ষাছুটি নিয়ে জাপানে চলে যান। সম্প্রতি তিনি দেশে ফিরে যোগ দিয়ে পুনরায় চার বছরের শিক্ষাছুটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকো যান, যা নজিরবিহীন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, পাঁচ বছরের ওপরে শিক্ষাছুটি নেওয়ার সুযোগ নেই। পরে ছুটি নিতে হলে অবশ্যই সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদন নিতে হয়। কিন্তু এ সংক্রান্ত কোনো চিঠি বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মে আছে, কোনো নিকট-আত্মীয় পরীক্ষার্থী হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অধ্যাপক, শিক্ষক অথবা কর্মকর্তা ওই পরীক্ষার কোনো দায়িত্বে থাকতে পারবেন না। এ নিয়ম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর কোনো উপাচার্য ভেঙেছেন বলেও শোনা যায়নি। তবে, এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে পাওয়া নথিতে দেখা যায়, ওই পরীক্ষার সার্বিক তত্ত্বাবধান কমিটির প্রধান ছিলেন উপাচার্য নিজে।
অভিযোগ উঠেছে, উপাচার্য শুধু সন্তানদের জন্যই সব করেছেন — এমনটি বললে ভুল হবে। তিনি তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোনো বিজ্ঞাপন ছাড়াই পুত্রবধূ, দুই ভাগনে, শ্যালিকার পুত্রসহ প্রায় দশজনকে নিয়োগ দিয়েছেন।
কোর্সের নিয়ম পাল্টানো নিয়ে কিছুই জানেন না অন্য কর্মকর্তারা
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কোর্সের বিষয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত বা পরিবর্তন এলে এ ক্ষেত্রে নিয়ম হলো, সেটি প্রথমে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে যাবে। অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে পাস হওয়ার পর সেটি যাবে সিন্ডিকেট কাউন্সিলে। এমনকি সিন্ডিকেটে পাস হলে সেটি বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ হবে। তবে, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেট কাউন্সিলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এমডি-এমএস কোর্সে দুই বছর চাকরির শর্ত কোনো কাউন্সিলেই আলোচনার মাধ্যমে পরিবর্তন হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এমডি/এমএস কোর্সের ক্ষেত্রে নতুন কোনো নিয়ম চালু হয়েছে কি না, জানতে পাঁচজন অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল সদস্যকে ফোন করা হলে তারা জানান, নতুন কোনো নিয়ম হয়েছে— এমন ঘটনা তারা জানেনই না। বিএসএমএমইউ’র পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘নতুন নিয়ম হয়েছে কি না, আমার জানা নেই। আমরা এখনও জানি দুই বছর সার্ভিস দেওয়ার পর মেডিকেল অফিসাররা আবেদন করতে পারবেন।’
এ বিষয়ে প্যাথলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফেরদৌসী বেগম, ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান, বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মতিউর রহমান এবং কনজারভেটিভ ডেন্টিস্ট্রি অ্যান্ড এন্ডোডন্টিক্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়লও বলেন, ‘তারা নতুন নিয়ম প্রসঙ্গে জানেন না’।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় আইন না মেনে কোর্সে ভর্তির সুযোগ দেওয়ায় মেধাবী চিকিৎসকরা কোর্সের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এটি বিএসএমএমইউ’র রেসিডেন্সি সিস্টেমের গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
অনিয়ম করে ভর্তি হলে কোর্স বাতিল হবে
এ বিষয়ে জানতে বিএসএমএমইউ’র প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অফিসে এসে কথা বলতে বলেন। গত ৩১ ডিসেম্বর প্রো-ভাইস চ্যান্সেলরের অফিসে গেলে এ কে এম মোশাররফ হোসেন জানান, নিয়ম হলো মেডিকেল অফিসারদের প্রথমে নিয়মিত ও পরে স্থায়ী হতে হবে।
২০২২ সালের ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম ২০২৩ ও ২০২৪ সালে এসে পরিবর্তন করা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিজ্ঞপ্তি অনুসারে বলতে হয় যে, আমাদের আগে যে নিয়ম ছিল সেটি এখন আর নেই।’ তাহলে কবে বা কোন প্রক্রিয়ায় নিয়ম পরিবর্তন হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। এ বিষয়ে কন্ট্রোলার (পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক) ভালো বলতে পারবেন।’ এরপর তিনি কন্ট্রোলারকে ডেকে আনেন।
বিএসএমএমইউ’র পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আব্দুল হাকিম বলেন, ‘এ বছর সাত হাজার ৫৪০ জন ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছেন। পাস করেছেন ৭০০-এর কিছু বেশি। এখানে যারা মেডিকেল অফিসার, তারা নিয়মিত হলেই আবেদন করতে পারছেন।’
এ নিয়ম কবে হলো— এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা সিন্ডিকেটের বিষয়, আমি বলতে পারব না। আপনারা রেজিস্ট্রার স্যারদের সঙ্গে কথা বলেন। আমি এটুকু বলতে পারি, কেউ যদি তথ্য গোপন করে ভর্তি হয়েও যান, তার কোর্স বাতিল হবে।’
এ বিষয়ে সহকারী রেজিস্ট্রার জি এম আব্দুল হাসান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত রেসিডেন্সি কোর্সের নতুন কোনো নিয়ম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে ওঠেনি। সরকার রেসিডেন্সি কোর্সের নিয়ম পরিবর্তন করতে চেয়েছিল, কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কখনও এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটাতে রাজি হয়নি। কারণ, এ নিয়মের ব্যত্যয় হলে কোর্সের গুণগতমান নষ্ট হতে পারে।’
যা বলছেন ভিসি শারফুদ্দিন আহমেদ
উত্থাপিত অভিযোগ প্রসঙ্গে বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা নিয়মিত চিকিৎসক তারা ভর্তি হতে পারবেন। আর সরকারিভাবে যাদের পাঠানো হয়, তাদের গ্রামে ইন্টার্নশিপ শেষে দুই বছর থাকতে হয়। পোস্ট গ্রাজুয়েশন করতে চাইলে একটা পরীক্ষা দিতে হয়, পরীক্ষায় পাস করলে তারা ভর্তি হতে পারেন।’
বিএসএমএমইউ’র মেডিকেল অফিসারদের চাকরিতে কোনো বয়সসীমা আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের নিয়ম হলো তারা যখনই নিয়মিত হবেন, পরীক্ষা দিয়ে পাস করলে তাদের নিয়ে নেওয়া হবে।’
২০২২ সালে দুই বছর চাকরির নিয়ম ছিল, সেটা রহিত হয়েছে কি না? এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ওই নিয়ম এখন আর নেই। যারা কোর্স আউট হয়েছেন, আমি তাদেরও সুযোগ দিচ্ছি। কোর্স ছেড়ে বাড়ি চলে গিয়েছিল, তাদেরও আমরা ফেরত এনে পরীক্ষা দিতে দিচ্ছি। আমি এখন এসব রিল্যাক্স করে দিয়েছি। এখন আর কোনো সমস্যা নেই।’
নিয়ম পরিবর্তন হয়েছে কি না, জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, ‘এটি পরিবর্তন নয়, বরং রিল্যাক্স করে দেওয়া। যারা নিয়মিত তাদের ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছে।’
অভিযোগ উঠেছে, বিশেষ কাউকে বিশেষ সুবিধা দিতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন— এমন প্রশ্নের জবাবে শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সবকিছু আইনানুগভাবেই হয়েছে। আমি কোনো কিছুতে আইনের ব্যত্যয় করিনি।’
Leave a Reply