ইরাকের প্রতিরোধ গোষ্ঠী ‘ইসলামিক রেজিস্ট্যানস’ জর্ডানে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের তিন সেনা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় চাপ সৃষ্টি হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওপর। খবর রয়টার্সের
রোববারের এ হামলার মধ্য দিয়ে হামাস–ইসরাইল সংঘাত শুরুর পর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে প্রথমবারের মতো মার্কিন সেনারা শত্রুপক্ষের হামলায় নিহত হলেন।
হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা ছিল, ইরান সমর্থিত কোনো বিদ্রোহী গোষ্ঠী এ হামলা চালিয়েছে। তবে সেই ধারণা ভুল প্রমাণ করে এর দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স।
আর ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছে, মার্কিন ঘাঁটিতে তারা হামলা চালায়নি।
মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে এ উত্তেজনা বৃদ্ধি বলতে গেলে অনিবার্য ছিল। গত অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় থেকেই ইরাক ও সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক স্থাপনাগুলো বারবার ইরান–সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হামলার শিকার হচ্ছিল। এতে বেশ কয়েকজন মার্কিন সেনা আহত হয়েছেন। দেশ দুটিতে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়ে পাল্টা জবাব দিচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্রও।
এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। এবারের হামলায় মার্কিন সেনা নিহত হয়েছেন। বাইডেন ক্ষমতায় থাকতে এমন ঘটনা ঘটল। তার দায়ভার অনেকটাই তার ওপর বর্তাবে। কিভাবে ইরাকের এই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাইডেন পদক্ষেপ নেন তার অপেক্ষায় মার্কিনিরা।
যদিও হামলার পর বাইডেন অনেকটা অস্পষ্ট সুরে বলেছেন, সময়মতো তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আসছে নভেম্বরে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এমন সময় ইরানের সঙ্গে বেশ তুঙ্গে রয়েছে দেশটির বৈরিতা। ইয়েমেনের হুথিদের সঙ্গে চলছে তীব্র টানাপোড়েনের সম্পর্ক। গাজায় ফিলিস্তিনের আগ্রাসন থামাতে না পারার কারণে ইতোমধ্যে ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছেন। এর মধ্যে ইরাকের প্রতিরোধ গোষ্ঠী ক্ষেপেছে বাইডেনের ওপর। চারদিকের চাপে দিশেহারা অব্স্থায় অবস্থা হওয়ার যোগাড় তার।
মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে হামলা পালটা হামলার সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়ার কারণে নিজ দেশের বিরোধী নেতাদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন বাইডেন। এর কারণে আসন্ন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে দাড়ালে কমতে পারে তার ভোটের হার।
Leave a Reply