দুর্দান্ত ঢাকার শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। মনে হচ্ছিল পাহাড়সম সংগ্রহের পথেই ছুটছে তারা। বিনা উইকেটে ৮.৫ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৭৫ রান। তবে এরপরেই ঘুরে দাঁড়ায় খুলনা, চেপে ধরে রাজধানীর দলটাকে। তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছার আগেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে ঢাকা, শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৩০ রানে থামে তাদের ইনিংস।
সোমবার সিলেটে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নামে ঢাকা। শুরুটা ছিল তাদের আশাজাগানিয়া। পথ দেখান নাইম শেখ। শুরু থেকে বিধ্বংসী রূপে দেখা দেন বাঁ হাতি এই ব্যাটার৷ যোগ্য সঙ্গ দেন পাকিস্তানি সাইম আইয়ুব। দু’জনের যোগলবন্দীতে ৫৪ বলে আসে ৭৫ রান।
নাইমের বিদায়েই ভাঙে জোট। অর্ধশতক হাতছাড়া করার আক্ষেপ নিয়ে নাইম ফেরেন ২১ বলে ৪১ রানে। ২ চার চার ছক্কায় গড়া তার ইনিংস থামান আফিফ হোসেন। তার বিদায়ের সাথে সাথেই ভেঙে পড়ে ঢাকার দূর্গ। মুহুর্মুহু উইকেট তুলে নেন খুলনার বোলাররা।
পরের ওভারে ভয়ঙ্কর হবার আগেই আইয়ুবকে ফেরান শানাকা। ৩৭ বলে ৩৫ রান আসে তার ব্যাটে। সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠার আগেই জোড়া আঘাত হানেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। সমান ৩ রানে ফেরান মেহরব হোসেন ও গুলবাদিন নাইবকে৷
এক ওভার পর জোড়া আঘাত আনেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। ফেরান ঢাকার অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকেও। আসরে এখন পর্যন্ত সুপার ফ্লপ মোসাদ্দেক। আজও ফেরেন ডাক মেরে। সব মিলিয়ে মোসাদ্দেকের রান ৪ ম্যাচে ০, ১, ১৫, ০।
একই ওভারে ইরফান শুক্কুরকেও ৩ রানে আউট করেন নাওয়াজ। পরের ওভারে এসে ৪ রান করা তাসকিনও তার শিকার৷ ১৭তম ওভারে জোড়া আঘাত আনেন ওয়াসিম জুনিয়র। ম্যাচ জুড়ে দারুণ বল করা এই পাক পেসার ফেরান উসমান কাদির ও ১৪ বলে ২১ রান করা এলেক্স রক্সকে।
১১৪ রানে ৯ উইকেট হারানো ঢাকাকে শেষ উইকেট জুটিতে ১৬ রান এনে দেন আরাফাত সানি। তার ১৪ বলে ১৫* রানে শেষ পর্যন্ত অলআউট হওয়া থেকে বাঁচে ঢাকা।
Leave a Reply