পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে গতকাল। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়া ১২ ঘণ্টা পর শুরু হয়েছে ভোট গণনা, সঙ্গে চলছে ফল প্রকাশ। তবে ভোটগ্রহণের দীর্ঘ ১৯ ঘণ্টা পার হওয়ার পরও সামগ্রিক ফল সামনে আসেনি।
শুক্রবার এখনো পর্যন্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পেছনে ফেলে এগিয়ে নওয়াজের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)। খবর রয়টার্সের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল প্রাথমিক ফলাফলে কিছুটা এগিয়ে রয়েছে। যদিও ভোট গণনায় অস্বাভাবিক বিলম্বের জন্য মোবাইল ফোন পরিষেবা স্থগিত করাকে দায়ী করেছে দেশটির সরকার।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার বেলা ১১টায় পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন দেশটির জাতীয় পরিষদের ২৬৫টি আসনের মধ্যে ৪৭টি আসনের ফল বেসরকারিভাবে ঘোষণা করেছে। এই ফল অনুযায়ী, নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) ১৭টিতে এবং কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দলের সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১৪টি আসনে জয়ী হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
এছাড়া পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশটির প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি ১২টি আসন পেয়েছে। বাকিগুলো জিতেছে ছোট দল বা দল-নিরপেক্ষ স্বতন্ত্ররা।
মূলত ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) দল হিসাবে বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়া হয়নি। এমনকি তাদের নির্বাচনী প্রতীকও ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। আর তাই ইমরানের দলের প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
বিশ্লেষকরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, এই নির্বাচনে কোনও দলই স্পষ্ট বিজয়ী নাও হতে পারে। মূলত বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ বন্ধ হওয়ার ১৮ ঘণ্টা পরে কিছু ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে, যা পাকিস্তানের যেকোনও নির্বাচনের জন্য বেশ অস্বাভাবিক।
রয়টার্স বলছে, ‘ইন্টারনেট সমস্যার’ কারণে ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব হয়েছে বলে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) বিশেষ সচিব জাফর ইকবাল দাবি করেছেন। তবে এর চেয়ে বিস্তারিত আর কিছু বলেননি তিনি।
সরকার দাবি করেছে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুরক্ষিত করার অংশ হিসাবে বৃহস্পতিবার নির্বাচনের আগে মোবাইল ফোন পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছিল এবং সেগুলোই এখন আংশিকভাবে চালু করা হচ্ছে।
সদ্য সমাপ্ত এই নির্বাচনে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থিত প্রার্থী ও পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন) প্রার্থীদের মধ্যে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) গত জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল।
Leave a Reply