মাদারীপুর প্রতিনিধি :- মাদারীপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী কাজী পরিবার। ইতিহাসের পাতায় রয়েছে এই পরিবারের নাম। ডাঃ জোহরা বেগম কাজী তিনি ছিলেন চিকিৎসা বিজ্ঞানের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। উপ মহাদেশের প্রথম মুসলিম নারী চিকিৎসক, বঙ্গবন্ধুর পারিবারিক চিকিৎসক, ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসায় রয়েছে অগ্রণী ভূমিকা রাখা জোহরা বেগমের ভাতিজি সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হয়ে থাকতে চান জনগনের পাশে। সেই পরিবারের সদস্য কাজী রুমা নাম লিখিয়েছেন রাজনীতির খাতায়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শেকে ধারণ করে দির্ঘদিন রয়েছেন রাজনীতির মাঠে। তার পাশাপাশি সমাজসেবা করে কুড়িয়েছেন অসহায় মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালবাসা। সুযোগ পেলে রাজনীতি ও জনসেবায় অগ্রণী ভূমিকা রাখার প্রত্যয় তার। ইতিহাসের পাতা থেকে রাজনীতির খাতায় এখন কাজী পরিবারের রুমা কাজী।
জানা যায়, মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী কাজী পরিবারে ১৯৮৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন কাজী রুমা। বাবা কাজী শাজাহান স্থানীয় চিকিৎসক। তার ফুপু অধ্যাপক ডাঃ জোহরা বেগম কাজী উপ-মহাদেশের প্রথম মুসলিম মহিলা চিকিৎসা হিসেবে নাম লিখিয়েছিলেন ইতিহাসের পাতায়। অধ্যাপক ডাঃ জোহরা বেগম কাজী ছিলেন চিকিৎসা বিজ্ঞানের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, এদেশে যখন কোন মহিলা ডাক্তার ছিলেন না তখন তিনি প্রথম এসেছিলেন। ভারতের মধ্য প্রদেশে মহাত্মা গান্ধীর চিকিৎসা সেবায় তিনি প্রথম আত্মনিয়োগ করেন। তিনি দিল্লির লেডি হার্ডিং মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৩৫ সালে প্রথম স্থান অধিকার করে এম.বি.বি.এস পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং এজন্য পুরস্কার হিসাবে পান ভাইসরয় পদক, ১৯৪৮ সনে বাংলাদেশে ফিরে আসেন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তার সুদীর্ঘ কর্মমুখর জীবন অতিবাহিত করেন।দীর্ঘ কর্মময় জীবনের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০০২ সালে রোকেয়া পদক, ২০০৫ সালে বি.এম.এ স্বর্ণ পদক ও ২০০৮ সালে বাংলাদেশ। সরকার তাকে একুশে পদকে ভূষিত করেন। অধ্যাপক ডাঃ জোহরা কাজী জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের পারিবারিক চিকিৎসক ছিলেন। রুমা কাজীর আরেক ফুপু ডাঃ শিরিন কাজী উপ-মহাদেশের দ্বিতীয় মুসলিম মহিলা চিকিৎসক। অধ্যাপক ডাঃ জোহরা বেগম কাজী এর ছোট বোন। দাদা- কাজী আশরাফ মাহমুদঃ- (সাবেক অধ্যাপক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বোটানী বিভাগ) ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য নেতা। দাদা ক্যাপ্টেন আলমগীর সাত্তার বীর প্রতীক, লেখক, গবেষক, এবং মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক।দাদা কাজী আব্দুর সবুর বীর মুক্তিযোদ্ধাঃ- ১৯৭১ইং সালে মাদারীপুর জেলায় বিভিন্ন উপজেলায় সম্মুখ যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যবধি বাংলাদেশ আওয়ামলীগের বিভিন্ন দায়-দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কালকিনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তমান কালকিনি উপজেলা উপজেলা পরিষরে চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক, নবগঠিত ডাসার উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্মআহবায়ক কাজী মাহমুদুল হাসান দোদুল ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কালকিনী উপজেলা শাখা সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মতিউর রহমান বাদল রুমা কাজীর চাচা।এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী যুব মহিলালীগ কালকিনী উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি কাজী নাসরিন কাজী রুমার ফুপু ।
সেই ঐতিহ্যবাহী কাজী পরিবারের সদস্য কাজী রুমা । সে বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রিয় কমিটির সাধারন সম্পাদক , বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ডা জোহরা কাজী ফাউন্ডেশনের সাধারন সম্পাদক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কালকিনি, ইডেন মহিলা কলেজসহ বিভিন্ন ইউনিটে কাজ করে বর্তমানে আওয়ামী লীগের নীতি ও আদর্শ বুকে ধারন করে একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত রয়েছেন। মাদারীপুর ও কালকিনির অসহায় ও দুস্থ মানুষের পাশে দাড়িয়ে কুড়িয়েছেন শ্রদ্ধা ও ভালবাসা। সুযোগ পেলে অসহায় মানুষের পাশে দাড়নোর প্রত্যয় তার।
এ বিষয়ে কাজী রুমা বলেন, কালকিনি উপজেলা ছাত্রলীগ,ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করেছি। বর্তমানেও আওয়ামীলীগের নীতি ও আদর্শকে বুকে ধারন করে কাজ করে যাচ্ছি। বিগত দিনে অসহায় নেতাকর্মী ও দুস্থদের পাশে দাড়িয়েছি। সেবার সুযোগ সৃষ্টি করতে সংক্ষিত আসনের মনোনয়ন ফর্ম কিনেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ দিলে এলাকার উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারবেন বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
Leave a Reply