ঈদের তিন দিন বাকি। এ সময় যানবাহনের ভিড় থাকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম পাটুরিয়া দৌলতদিয়া ঘাটে। এবারের চিত্র ভিন্ন। সেখানে যানবাহনের বাড়তি চাপ নেই। আরিচা–কাজিরহাট রুটের অবস্থা একই। যানবাহন ঘাটে আসামাত্রই বিনা ভোগান্তিতে সরাসরি উঠে যাচ্ছে ফেরিতে। শুক্রবার সকাল থেকে এ দুটি ঘাটে এমন স্বস্তির ঈদযাত্রা দেখা গেছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) পক্ষ থেকে যথারীতি ঈদ প্রস্তুতি থাকায় কোনো ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না যানবাহন ও যাত্রী সাধারণকে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ বলেন, ঈদ সামনে রেখে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ছোট বড় ২৩টি ফেরি চলাচল করছে।
সরেজমিন দেখা যায়, মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও আরিচা ফেরিঘাট এলাকায় যানবাহন ও যাত্রীর চাপ না থাকায় কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই নদী পার হচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঈদে ঘরে ফেরা মানুষেরা। তবে ঢাকা ও তার আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কাটাপথে আসা ঘরমুখো মানুষের কিছুটা চাপ রয়েছে। ফেরিঘাটে চাপ কম থাকলেও লঞ্চঘাটে চাপ লক্ষ্য করা গেছে।
ফেরি সেক্টরের ওই কর্মকর্তা বলেন, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ প্রশাসন এবং বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটি সমন্বিত হয়ে যে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে তাতে কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বিনা ভোগান্তিতে পার হতে পারবে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, যাত্রী পরিবহণের জন্য পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়ায় ৩০টি লঞ্চ, আরিচা থেকে কাজিরহাট ১৩টি লঞ্চ এবং আরিচা থেকে কাজিরহাট নৌপথে ৪১টি স্পিটবোট চলাচল করবে। আগামী দিনে যানবাহনের চাপ বাড়লে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হবে। মহাসড়কে তেমন ভোগান্তি নেই।
Leave a Reply