টাকা না পেয়ে চার সন্তানের জননীর ‘ঘনিষ্ঠ’ ও ‘অশ্লীল ‘ছবি ছড়িয়ে দিচ্ছে এক দম্পতি (!)
স্টাফ রিপোর্টার // বরিশাল নগরীর ২৯ নং ওয়ার্ডের ভাড়াটিয়া মিতু(ছদ্মনাম)র নিজের স্বামীর সাথে ঘনিষ্ঠ ছবি ছড়িয়ে দিচ্ছে ময়না। ময়না দিয়াপাড়ার ছালাম এর মেয়ে এবং বিআরটিসির বাস ড্রাইভার রনির স্ত্রী।জানা যায়,ময়নার এই ব্লাকমেইলের কাজে সরাসরি জড়িত তার স্বামী রনি।
অনুসন্ধানে জানা যায়,মিতর সাথে রনির পরিচয় প্রায় ১ বছর আগে। ঝালকাঠির ধানসিরি ইউনিয়নের মালেকের পুত্র রনির সাথে পরিচয়ের পর প্রায়শই কধা হত মিতুর।0177194**** নম্বরে তাদের যোগাযোগ হত সবসময়। মিতুর ভাষ্য,পরিচয়ের পর তিনি(রনি)আমাকে সবসময় যোগাযোগ করেন এবং বিপদে আপদে সাহায্য চেষ্টা করেন।যেহেতু আমি আর্থিক ভাবে খুবই দুর্বল এবং অনেক টাকা ঋণগ্রস্ত, সেহেতু আমি তার কাছ থেকে মাঝেমধ্যে ২/৩ হাজার টাকা ধার নিতাম এবং শোধ করে দিতাম।গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারী তিনি আমাকে টাকা নিতে বাসায় ডাকেন এবং একটি স্ট্যাম্প চুক্তি করবেন বলে জানালে আমি সরল বিশ্বাসে তার বাসায় যাই।গিয়ে তার দেওয়া চা খেতেই আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি এবং যখন হুশ ফেরে তখন বুঝতে পারি আমি ধর্ষণের শিকার হয়েছি।এরপর এ ঘটনায় মামলা করবো বললে তিনি আমার শিশু সন্তানের ক্ষতি করবে এবং আমাকে ধর্ষণ করা ছবি,ভিডিও বাজারে ছড়িয়ে দেবে বলে ভয়ভীতি দেখান।ফলে আমি মামলা করা বা জানাজানি করা থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হই।অথচ,এরপর থেকে তিনি এ ভয় দেখিয়ে আমাকে নিয়মিত ভোগ করতে শুরু করেন এবং আশ্বস্ত করেন যে আমাকে তিনি বিয়ে করবেন।এ ঘটনা তার স্ত্রী ময়না জানলে তিনিও আমাকে ব্লাকমেইল শুরু করেন এবং বলেন যে আমার স্বামীর সব টাকাপয়সা তোর কাছে,এসব ফেরত না দিলে ছবি,ভিডিও ছেড়ে দেবো।সর্বশেষ গত ১৪ জুন দিয়াপাড়ার ছালাম এর মেয়ে এবং রনির স্ত্রী ময়না ব্লাকমেইল এর টাকা না পেয়ে আমার সেই ছবি বিভিন্ন লোকজনকে দেখাতে শুরু করেন এবং আমার কাছে ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা দাবি করেন।আমি টাকা দিতে না পারায় চক্রটি আমার বিরুদ্ধে মানহানিকর অপপ্রচার,কুৎসা ও অশ্লীল পর্ণ ছবি তৈরি করে ছেড়ে দিচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
অভিযুক্ত দম্পতি ময়না ও রনির বক্তব্যে তাদের ব্লাকমেইলের বিষয়টি সুস্পষ্ট হয়।ময়না বলেন ‘ আমার স্বামীকে মিতু প্রেম করে ফাঁসিয়ে প্রায় দেড় লাখ টাকা নিয়েছে।তাদের প্রেমের ছবি, ঘনিষ্ঠ ছবি প্রমাণ হিসেবে সাংবাদিকদের দেখান ময়না।তার দাবি,মিতু টাকা সব আত্মসাৎ করেছে।’
এদিকে সমাজের বিভিন্ন স্তরে অশ্লীল ও পর্ণ ছবি,ভিডিও ছড়ানোর মূল অভিযুক্ত রনিকে জানতে চাইলে তিনি বলেন মিতু আমার বান্ধবী। আর ওই ছবি না দেখলে বক্তব্য দিবো কিভাবে।তবে এ রিপোর্ট করার সময় তাকে ছবি দেখে সত্যতা যাচাই করতে অফিসে ডাকলে তিনি আসেননি।
Leave a Reply