নোয়াখালীর সেনবাগে ঋণের চাপে জর্জরিত হয়ে চিরকুট লিখে গলায় ফাঁস দিয়ে এক আওয়ামী লীগ নেতা আত্মহত্যা করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। এর আগে, সোমবার গভীর রাতে উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মজুমদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আওয়ামী লীগ নেতা কামাল উদ্দিন মজুমদার (৬৫) উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের লুধুয়া দীঘিরপাড় এলাকার মজুমদার বাড়ির মরহুম ছলিম উদ্দিন মজুমদারের ছেলে। তিনি ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলেক হোসেন বলেন, ‘ঋণের চাপে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি ছিলেন। চিরকুটে তিনি ঋণের বিষয়টি উল্লেখ করে গেছেন।’
কেশারপাড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: বেলাল ভূঁইয়া বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। মূলত তার পেছনে তার পরিবারে হাল ধরার মতো আর কেউ ছিল না। তার আয়-রোজগারে সংসার চলত। ঋণের চাপে তিনি আত্মহত্যা করেন।’
সেনবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন বলেন, কামাল মজুমদার একজন কৃষক ছিলেন এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিল বলে স্থানীয়রা জানায়। সোমবার দিবাগত গভীর রাতে তিনি পরিবারের সদস্যদের অগোচরে ঘরের সামনের কাঁঠাল গাছের সাথে রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। লাশ উদ্ধারের সময় তার স্বজনদের কাছে ছয় পৃষ্ঠার একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। তাতে তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে ঋণের চাপ ও অভাব অনটনকে দায়ী করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, তবে চিরকুট কামাল মজুমদারের হাতে লেখা কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। আজ তার এক লাখ টাকার ওপরে ঋণের টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল।
Leave a Reply