যশোরে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তার কম্পিউটারে বিভিন্ন জেলার ২০০ জাল জন্মনিবন্ধন সনদ পাওয়া গেছে। জাল সনদ তৈরির সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ ইউনিয়নের উদ্যোক্তাসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা শুভাশিস বিশ্বাস ও তার সহযোগী খাজুরা এমএন মিত্র হাইস্কুলের অফিস সহায়ক রাহাত রহমান নিশাত। একই সঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলীমুজ্জামান মিলন ও সচিব আলী নেওয়াজকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
আটক শুভাশিস ওই ইউনিয়নের গহেরপুর গ্রামের শ্যামল বিশ্বাসের ছেলে এবং নিশাত জসিম উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
জানা যায়, রোববার দুপুরে যশোর সদর উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়ন পরিষদের পরিদর্শনে যান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন বিশ্বাস। এ সময় তিনি উদ্যোক্তার কাছে জন্মনিবন্ধন কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চান। ইউএনও উদ্যোক্তার কম্পিউটার চেক করে দেখতে পান, সেখানে নোয়াখালী, কুমিল্লা, চাঁদপুর ও সাতকানিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ২০০ জাল জন্মনিবন্ধন বিক্রির কাগজপত্র রয়েছে। কাগজপত্রের সঠিক উত্তর না দিতে পারার কারণে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন বিশ্বাস বলেন, বিভিন্ন ইউনিয়নে নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ হিসেবে রোববার লেবুতলা ইউনিয়নে যাওয়া হয়। ইউনিয়নের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে উদ্যোক্তার কক্ষেও যাওয়া হয়। সেখানে তার জন্মনিবন্ধন কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। এরপর তার কম্পিউটারে বিভিন্ন জেলার ২০০ জাল জন্মনিবন্ধন দেখা যায়। আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ ছিল না। হঠাৎ করেই তার কম্পিউটারে যাচাই করা হয়। এতেই এই জালিয়াতি ধরা পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় সঙ্গে স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট জেলা উপজেলার চক্ররা জড়িত রয়েছে। ধারণা করছি, অর্থের বিনিময়ে চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে এ জালিয়াতি কাজ করে আসছে। জড়িত উদ্যোক্তা ও তার সহযোগী মোট দুজনকে তাৎক্ষণিক পুলিশে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করবে। এ ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সচিবকে শোকজ করা হয়েছে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি (তদন্ত) একেএম শফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, জাল জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি করার অভিযোগের ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
Leave a Reply