ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশে এই প্রথম আনন্দের সঙ্গে দুর্গোৎসব উদযাপন হচ্ছে। বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ এখন নিরাপদ।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেগুরিয়া ইউনিয়নের মির্জাপুরের নিজ বাড়িতে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
এ সময় ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
দুর্গোৎসব উপলক্ষে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বাড়িতে এদিন প্রায় দশ হাজার মানুষের ভোজের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে তার বাড়িতে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা শিরীন সুলতানা, ডা. রফিকুল ইসলাম, ডা. দেওয়ান সালাহউদ্দিন বাবু, তাবিথ আউয়াল, নিলোফার চৌধুরী মনি, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, আক্তার হোসেন, মোজাদ্দেদ আলী বাবুসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা জেলার বিভিন্ন থানার বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মিলন মেলা হয়।
গণফোরামের সুব্রত চৌধুরীসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও এ মিলন মেলায় যোগ দেন।
শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে অবস্থান নেন। সেখানে বসে নানা ষড়যন্ত্র করছেন। আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে থেকে প্রতিটি ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিয়েছে। এখন তারা হতাশ হয়ে নানা গুজব ছড়াচ্ছে। এই গুজবে দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ পা দেবে না।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে গয়েশ্বর বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী নেতাকর্মীরা যেভাবে সারাদেশে প্রতিটি পূজা মন্ডপে দিন রাত পালা করে পাহারা দিচ্ছে, এতে ফ্যাসিবাদের দোসররা এখন পর্যন্ত দেশের কোথাও কোনো অশান্তি সৃষ্টি করতে পারেনি। এ বছর হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপন করছে। এ জন্য আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ বিএনপির কাছে ঋণী।
Leave a Reply