মিলন কান্তি দাস ।। নলছিটির সুগন্ধা নদীতে দিনের আলোতেই চলছে প্রকাশ্যে মা ইলিশ নিধন।
১৩ অক্টোবর থেকে শুরু হয় মা ইলিশ শিকার প্রতিরোধ কার্যক্রম। সরকারি ভাবে মা ইলিশ সংরক্ষণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও এর সাথে সম্পৃক্ত লোকজনের সহযোগিতায় মাছ শিকারের অভিযোগ রয়েছে। অভিযানের শুরু থেকেই নলছিটির দুই নদী সুগন্ধা ও বিষখালীর বিভিন্ন পয়েন্টে মাছ শিকারের অভিযোগ রয়েছে।
গত ২২ অক্টোবর দুপুর দুইটার দিকে সুগন্ধা নদীর মল্লিকপুর এলাকায় বেশকিছু নৌকায় মাছ ধরার দৃশ্য দেখতে পেয়ে এই প্রতিবেদক নলছিটির মৎস্য কর্মকর্তা রমনী মোহন মিস্ত্রীকে ফোনে বিষয়টি জানালে তিনি বলেন তিনি সুগন্ধা নদীর মাটিভাঙা এলাকায় আছেন। অন্য একটি টিমকে ওই এলাকায় পাঠাচ্ছেন। বিকেল পাঁচটার দিকে একই এলাকায় ২০/২৫টি নৌকায় প্রকাশ্যে মাছ শিকার করতে দেখে পুনরায় মৎস্য কর্মকর্তাকে তার ব্যবহৃত 01718136535 মোবাইল নম্বরে ফোন দিলে বলেন তিন বলেন ষাটপাকিয়া ফেরিঘাট এলাকায আছেন। মল্লিকপুর এলাকায় প্রকাশ্যে মাছ ধরার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন তিনি এখনই ওই দিকে যাচ্ছেন। প্রশ্ন হচ্ছে দুইটায় মাছ ধরার বিষয়টি তাকে অবগত করার পরে তিন ঘন্টা পার হলেও কেন তিনি পনেরো মিনিটের পথ পার হয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌছাতে পারলেন না?
সচেতন মহলের অভিযোগ অভিযানের সম্পৃক্ত একটি অসাধু চক্রের সহযোগিতায় চলছে মা ইলিশ নিধন। ফলে ব্যর্থ হচ্ছে সরকারের মহতি উদ্যোগ। একটি মা ইলিশ নিধন মানে হাজার হাজার ইলিশ নিধন। সেখানে প্রতিদিন শতশত নৌকায় চলছে অবাধে মা ইলিশ নিধন। এলাকার সচেতন মহল এই অসাধু চক্রকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আরিফুর রহমান বলেন অভিযান ঢিলেঢালার অভিযোগ পেয়ে আজ থেকে অভিযান জোরদার করা হয়েছে। আজকে (২৩ অক্টোবর বুধবার পৌনে বারোটা) এখন পর্যন্ত ৭টি নৌকা ধ্বংস করেছি এবং দুই হাজার মিটারের মতো জাল জব্দ করেছি। আজ থেকে মা ইলিশ রক্ষর অভিযন আরও জোরদার করা হবে।
Leave a Reply