নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: বিয়ে বাড়িতে বরের প্রেমিকার উপস্থিতিতে পালিয়েছেন বর। আর প্রেমিকার অভিযোগ শুনে খোদ কনের পরিবারই বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতা বাতিল করে দিয়েছে। এ সময় প্রেমিকাকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি পরবর্তীতে কনের বিয়ের আয়োজনে সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয়রা।
শুক্রবার (২০ মে) দুপুরে বরিশাল শহরতলীর চরআবদানি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
কিন্তু জুমা’র নামাজের আগে বরের বাড়ির পাশের এক তরুণী লাবন্য তার বোন ও মাকে নিয়ে কনের বাড়িতে হাজির হয়। লাবন্য তার প্রতিবেশী কলম খার মেয়ে ।এসময় ওই তিনি নিজেকে মৃদুলের প্রেমিকা বলে দাবি করেন। সেই সঙ্গে কনেকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিতের পাশাপাশি হট্টগোল বাধিয়ে দেন। পরে স্থানীয়রা এসে ওই তরুণীর অভিযোগ শুনে এবং কনের পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের কার্যক্রম বাতিল করে দেন।
স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধি মারুফ হোসেন জানান, হট্টগোল হওয়ার পর কনের বাড়ি থেকে লোক এসে আমাকে ডেকে নেয়। পরে বরের স্বজনদের সামনেই ওই তরুণীটি নিজের দাবির পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরেন। দীর্ঘ সাত থেকে সাড়ে ৭ বছরের প্রেমসহ অন্তরঙ্গ সম্পর্কের কথাও প্রকাশ্যে বিভিন্ন প্রমাণসহ তুলে ধরেন মেয়েটি।
তিনি বলেন, কনের বাড়িতে প্রেমিকার আসার পর থেকে মৃদুলের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি, এককথায় মৃদুল পালিয়ে যান। যদিও প্রেমিকা তরুণীর দাবি মৃদুলই তাকে এসএমএস দিয়ে এখানে আসতে বলেছেন এবং এখান থেকে তাকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার কথাও বলেছেন। পরবর্তীতে সার্বিক দিক বিবেচনা করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা কনের বাবার সঙ্গে আলোচনা করে বিয়ের কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।
এ সময় কনের বাবা, মৃদুলের সঙ্গে তার মেয়েকে বিয়ে না দেওয়ার কথা বর পক্ষকে জানিয়ে দেন। পরে বর পক্ষের লোকজনসহ কিছু অতিথি না খেয়েই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। যদিও কনের গরিব বাবা এক-দেড়শ মেহমানের খাবারের আয়োজন করেছিলেন।
চরবাড়িয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল খান বলেন, এমন ছেলের সঙ্গে বিয়ে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কনের বাবা। ফলে তাৎক্ষণিক বিয়ের কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। যদিও কনের কোনো দোষ ছিল না।
এবিষয়ে জানতে ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহালম কে ফোন( 01721540576)দিলে কোন জবাব পাওয়া যায়নি।
বর ও তার পরিবার পেছনের এসব বিষয়গুলো গোপন রেখে বিয়ের আয়োজন এগিয়ে নিয়ে যায়। আর এসব কারণ বিবেচনা করে কনের পরবর্তীতে বিয়ের আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করার কথা জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সেই সঙ্গে সু-বিচার পেতে মৃদুলের প্রেমিকাকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্থানীয়রা। তখন ওই তরুণী ও তার পরিবার থানায় মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন আর কাউনিয়া থানা পুলিশ জানিয়েছে, লিখিত অভিযোগ পেলে তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply