নলছিটিতে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ,পরিচ্ছন্ন অভিযান বা মশার বিস্তার রোধে নেই স্প্রে কার্যক্রম

মিলন কান্তি দাস,নলছিটি,ঝালকাঠি।। নলছিটিতে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। গত এক

সপ্তম ধরেই ২/১ জন করে সনাক্ত ডেঙ্গু রোগী। এখনই সচেতন না হলে পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
মশার বিস্তার রোধে পৌরসভার পক্ষ থেকে লিফলেট বিতরণ ছাড়া আর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি আজ পর্যন্ত।
এখন ঘরে ঘরে জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে লোকজন। এদের বেশিরভাগই ঘরে বসে চিকিৎসা নিচ্ছে। হসপিটালে আসা জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে গত এক সপ্তাহে পরীক্ষা করতে আসা রোগীদের মধ্যে প্রতিদিনই দুই/এক জনের ডেঙ্গু পজেটিভ হয়েছে। ২০ জুলাই ডেঙ্গু সনাক্ত হয়েছে সুবিদপুর এলাকার আমিনুল ইসলাম (১৯), নলছিটির রফিকুল ইসলাম (৫২) এবং বিকপাশার গ্রামের মো: জসিম (২৮) নামে তিনজনের। এ ব্যাপারে নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব ) মেহেদী হাসান জানান এই সপ্তাহে প্রতিদিনই ২/১ জন করে ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত হচ্ছে। আজ ২০ জুলাই ৩২ জন রোগীর মধ্যে তিন জনের ডেঙ্গু সনাক্ত হয়েছে।
ডেঙ্গু রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডাক্তার রাসেল ঢালী বলেন বেশ কিছুদিন ধরেই ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত হচ্ছে।ইতোমধ্যে নলছিটি হসপিটালে ৫জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন এবং বর্তমানে ২জন ভর্তি আছেন। নলছিটি হসপিটালের নার্স ফারজানা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তার নলছিটির বাইরে যাওয়ার কোন হিস্ট্রি নেই। তাই ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে বাঁচতে হলে জনসচেতনার পাশাপাশি পরিবেশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হব। এবং কোথাও পানি জমতে দেয়া যাবে না। জ্বরে আক্রান্তা হলে প্যারাসিটামল ট্যাবলেটের পাশাপাশি প্রচুর পরিমান তরল খাবার খেতে হবে।
নলছিটি পৌরসভার মেয়র আবদুল ওয়াহেদ খান’র সাথে কথা হলে তিনি বলেন জন সচেতনতার জন্য লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। আগামী শনি-রবিবার থেকে জঙ্গল পরিস্কার ও স্প্রে করা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জান্নাত আরা নাহিদ বলেন তিনি পৌরসভার মেয়র মহোদয়কে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বলেছেন। বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদেকেও চিঠি দেয়া হচ্ছে। স্প্রে,পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং সচেতনতার বিকল্প নেই। আমরা সবাই সচেতন হলে ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে মুক্তি পেতে পারি।