বদলি হওয়ায় থানার এসি-সোফা-টেলিভিশন খুলে নিলেন ওসি! বদলি হওয়ায় থানার এসি-সোফা-টেলিভিশন খুলে নিলেন ওসি! – ajkalbd24.com
  1. admin@ajkalbd24.com : admin : H.M Aslam
  2. akazadjm@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  3. ajkalbd24.com@gmail.com : ajkalbd24 : Niaz Mohammad
  4. hafijakhan804@gmail.com : ajkal1 : ajkal1
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০২:৪২ অপরাহ্ন

বদলি হওয়ায় থানার এসি-সোফা-টেলিভিশন খুলে নিলেন ওসি!

আজকাল ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৩
  • ৫২ সময় দর্শন

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলামের বদলি হয়েছে। ফলে থানায় লাগানো এসি, টেলিভিশন, আইপিএস ও সোফা খুলে নিয়েছেন তিনি। পরে আসবাবপত্রগুলো থানা হতে তার কোয়ার্টারের সামনে রাখা হয়। এভাবে থানার জিনিসগু খুলে নেয়ার ঘটনায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে এলাকায়।থানার সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য যারা জিনিসগুলো উপহার দিয়েছেন তারা অবাক হয়েছেন এই ঘটনায়।

শুক্রবার (২৫ আগষ্ট) রাত ৯টার দিকে থানার পুলিশ সদস্য উদয় ও বহিরাগত আরিফ এবং ভ্যান চালকের সহায়তায় থানার জিনিসপত্রগুলো খোলা হয়। এরপর সেগুলো থানা হতে ভ্যানযোগে ওসির কোয়ার্টারে নেওয়া হয়।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৪ আগষ্ট) পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার স্বাক্ষরিত স্মারক নং ৫১৭০/১ (৪৯) (আরওআই) আদেশে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।তার এই বদলির আদেশের পরের দিন শুক্রবার রাতে থানার এসি, টেলিভিশন, সোফা ও আইপিএস খুলে নেওয়া হয়।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুকরা জানান, জিনিসপত্র ব্যক্তিগত কাউকে দেওয়া হয় না। থানায় যে ওসি আসবে সেই ব্যবহার করবে। এজন্যই জিনিসপত্রগুলো কেনার জন্য টাকা দেওয়া হয়েছে।

এতো নিচু মন মানসিকতার ওসি সেটা জানা ছিল না।থানার পুলিশ সদস্য উদয় জানান, ওসি স্যারের নির্দেশে জিনিসপত্রগুলো খুলে নেওয়া হয়েছে। এরপর সেগুলো ভ্যানযোগে ওসির কোয়ার্টারে রাখা হয়েছে।

নিকরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভপতি জুরান মন্ডল জানান, থানার সৌন্দর্যবর্ধন ও যেই ওসি আসুক তারা যেন সুবিধাটা ভোগ করতে পারে সেজন্য বালু মহলের টাকা দিয়ে জিনিসপত্রগুলো দেওয়া হয়েছে। কারো ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য নয়।শুনেছি তিনি সেগুলো খুলে নিয়ে যাচ্ছেন, এটা ঠিক না। তাকে ব্যক্তিগতভাবে দেওয়া হয়নি। তার চেয়ারটাকে সম্মান করে দেওয়া হয়েছে।

ভূঞাপুর থানার ওসি (তদন্ত) লুৎফর রহমান জানান, ওসির টাকায় কেনা জিনিসপত্র হলে তো সে নিতেই পারে। এই বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।

বদলি হওয়া ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, যেগুলো থানা হতে খোলা হয়েছে সেগুলো ব্যক্তিগত টাকা দিয়ে কেনা। সুতরাং সেগুলো আমি নিতেই পারি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর