চুরি মামলায় জেলে থাকা ফারজানার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ। চুরি মামলায় জেলে থাকা ফারজানার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ। – ajkalbd24.com
  1. admin@ajkalbd24.com : admin : H.M Aslam
  2. akazadjm@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  3. ajkalbd24.com@gmail.com : ajkalbd24 : Niaz Mohammad
  4. hafijakhan804@gmail.com : ajkal1 : ajkal1
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন

চুরি মামলায় জেলে থাকা ফারজানার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ।

আজকাল ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৪
  • ১০১ সময় দর্শন

স্টাফ রিপোর্টার – সম্প্রতি চুরি ও প্রতারণা মামলায় জেলে বন্দী কাশিপুরের বাসিন্দা ফারজানা রেজার বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগ ও প্রমাণ এসেছে প্রতিবেদকের হাতে।বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য ও ভুক্তভোগীদের সাক্ষাৎকার অনুযায়ী জানা গেছে ফারজানা শুধু চোর বা প্রতারকই নন,তিনি ছিলেন একজন মাদক সেবী এবং মাদকের একটি সিন্ডিকেটের বিশেষ দায়িত্বে।তার কাজ ছিল মাদক চক্রের সদস্যদের রক্ষা এবং নারী হিসেবে বিভিন্ন যায়গায়,অফিসে গিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের পক্ষে সুপারিশ করা।সুপারিশে কেউ রাজি না হলে বা প্রতিবাদ করলে তিনি সে ব্যক্তিদের নারী নির্যাতন মামলা,বাসায় চুরি ডাকাতির মামলা,ঢাকার সাবেক এমপি হাজী সেলিমের বাহিনী দিয়ে তুলে নেওয়ার হুমকি দিতেন।তার কথায় রাজি না হলেই তাকে করতেন এলাকা ছাড়া।

এমনকি স্থানীয় আ’লীগ সমর্থিত ব্যক্তি ও সাবেক কাউন্সিলের বড়ভাই হুমায়ুন কবির তার(ফারজানা) বিরোধিতা করলে ফারজানা কবিরের গৃহপালিত গরু চুরি করে বিক্রি করে দেয়।গরু চুরির বিষয়ে পুলিশ ফারজানাকে হাতেনাতে আটক করতে এলেও বেশ বেগ পোহাতে হয় বিমানবন্দর থানা কর্তৃপক্ষকে।এরপর হুমায়ুন কবির থানায় মামলার আবেদন করলে ফারাজানাসহ চোর চক্র বাদী হুমায়ুন কবিরকে লাখ টাকা জরিমানা দিয়ে খালাস পায় বলে জানা গেছে।অথচ,সে বিষয়ে সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে ফারজানা তাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং মামলার হুমকি দেন।

একজন ভুক্তভোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করেন ‘ ফারজানার মাদকের শেল্টার ও দেখাশোনা করছেন ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক জগলুল মোর্শেদ প্রিন্স।তিনি নিজেও একজন মাদক ব্যবসায়ী এবং কোতোয়ালি থানা কর্তৃপক্ষ তাকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ আটক করে মামলা দিয়েছিলেন।এরপর প্রিন্স জামিনে বেরিয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে মাদক ব্যবসা প্রসার করেছে।এই চক্রে যারাই আছে,তাদের কাজই হল মানুষকে ভয় দেখিয়ে, দলের নাম ভাঙ্গিয়ে মাদক ব্যবসা করা।এদের একাধিক কিশোর গ্যাং আছে যারা চুরি,ছিনতাইয়ে জড়িত।এরাও তাদের শক্তি।আমি শুরু থেকে প্রতিবাদ করায় এ চক্রের এ দুজন হোতা আমাকে অনেকবার মিথ্যা মামলায় ফাসাতে চেয়েছেন।আমি সতর্কতার সঙ্গে চলেছি বিধায় বেচে গেছি।তাহলে বুঝতে পারেন,সাধারণ মানুষ কিভাবে রুখবে এদের? ‘
ভুক্তভোগী আরও বলেন ‘ এদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ পুলিশ কমিশনার মহোদয়,র্যাব -৮ সহ বিভিন্ন দপ্তরে নিয়মিত দেয়া হলেও রাজনৈতিক ক্ষমতায় এরা পার পায়’
স্থানীয় সূত্র জানায়,ফারজানার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় মারা যাবার পরও তার সাইনবোর্ড ব্যবহার করে ফারজানা এসব করে থাকে।এটি বড় একটি মাদক, চোরাচালান চক্র।ভুক্তভোগীরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ চায়।

স্থানীয় আ’লিগ সমর্থক হুমায়ুন কবির বলেন ‘ ফারজানা আমার গরু চুরি করার পর ফেরৎ দেয়াতে আমি অভিযোগ প্রত্যাহার করি। তবে সে আমাকে দমাতে মিথ্যা অনেক অভিযোগ দিয়েছে।আমরা এদের বিচার প্রার্থী।

অভিযুক্ত ফারজানার মা এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর