বরিশালে উদ্ধার অবৈধ জাল বক্রির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দুই পুলিশ সদস্যর মাঝ নদীতে হাতাহাতি বরিশালে উদ্ধার অবৈধ জাল বক্রির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দুই পুলিশ সদস্যর মাঝ নদীতে হাতাহাতি – ajkalbd24.com
  1. admin@ajkalbd24.com : admin : H.M Aslam
  2. akazadjm@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  3. ajkalbd24.com@gmail.com : ajkalbd24 : Niaz Mohammad
  4. hafijakhan804@gmail.com : ajkal1 : ajkal1
সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ০১:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বরিশালের সিভিল সার্জন ও বিভাগীয় পরিচালক স্বাস্থ্যর বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরন বরিশালে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সদস্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৪ কর্মকর্তা বরখাস্ত আন্দোলনকারীরা ‘শাটডাউন’ করুক, কোনো বৈঠক হবে না: অর্থ উপদেষ্টা ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত বাতিল ‘গণঅভ্যুত্থান দিবস’ ৫ আগস্ট, ‘জুলাই শহীদ দিবস’ ১৬ জুলাই ছাত্রলীগ সভাপতি সুমনের নেতৃত্বে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও ভিডিও করা হয় গণতন্ত্র বাঁচাতে জিয়া কমিশন গঠন জরুরি দ্বিতীয় দিনের মতো এনবিআরে শাটডাউন চলছে, রাজস্ব আদায় ব্যাহত গভীর রাতে ঘর থেকে বের করে ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা

বরিশালে উদ্ধার অবৈধ জাল বক্রির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দুই পুলিশ সদস্যর মাঝ নদীতে হাতাহাতি

আজকাল ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২১
  • ১৩৮ সময় দর্শন

নিজস্ব প্রতিনিধিঃঃ অভিযানে উদ্ধার হওয়া অবৈধ জাল বিক্রির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে হাতাহাতিতে জড়িয়েছে বরিশাল সদর নৌ থানা পুলিশের দুই সদস্য। একজন সহকারি উপ-পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তার উপস্থিতিতে হায়দার ও তরিকুল নামের দুই কনস্টেবল মাঝ নদীতে ট্রলারে এই সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন। পরিস্থিতি বেশি ভাল না অনুমানে নিয়ে ওই দিন কোনো অভিযানে না গিয়েই ট্রলার ঘুরিয়ে বরিশালে নিয়ে আসা হয়। বিলম্বপ্রায় ঘটনাটি এতদিন লুকোচাপা থাকলেও থানা পুলিশের অপরাপর কর্মকর্তাদের কানাঘুষায় প্রকাশ পেতে শুরু করেছে। গত ১০ আগস্টের এই ঘটনা নিয়ে পুলিশ সদস্যরা মুখ না খুললেও বিষয়টি নিয়ে নৌ পুলিশের ভেতরে ভেতরে তোলপাড় যাচ্ছে।

জানা যায়, কামাল নামের এক মাঝির নৌকায় চরে সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শাহ আলমের নেতৃত্বে হায়দার-তরিকুলসহ ৬ পুলিশ সদস্য নৌবন্দর থেকে অভিযানের লক্ষে বের হয়। কিছুটা পথ অতিক্রম করে ট্রলারটি সদর উপজেলার পামেরহাট নামক এলাকায় পৌছালে ট্রলারের অভ্যন্তরে দুই পুলিশ কনস্টেবল তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। এসময় এএসআই শাহ আলম তাদের নিবৃত করার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হলে একপর্যায়ে উভয় পুলিশ সদস্য তাদের অস্ত্র নিয়ে একে অপরের দিকে তেড়ে আসে এবং শেষে অস্ত্র রেখে হাতাহাতি-মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে।

সেখানে উপস্থিত অপর এক পুলিশ সদস্য জানান, পদস্থ কর্মকর্তার নির্দেশনা মেনে কনস্টেবল তরিকুল অনুরোধে চুপসে গেলেও বেপরোয়া হায়দারকে থামানো যাচ্ছিল না। বরং তিনি এএসআই শাহ আলমের ওপরের চড়াও হন। এসময় ট্রলারের মাঝি কালাম তাকে (হায়দার) নিবৃত করতে গেলে তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন। লক্ষণ শুভ নয়, এমনটি অনুমানে সেইদিনের অভিযান ওই সময়ই শেষ করে থানায় ফিরে আসে পুলিশ সদস্যরা।

থানা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, শুধু নদীতেই নয়, থানায় ফিরে এসে দুই পুলিশ সদস্য ফের বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়লে সহকর্মীরা তাদের শান্ত করে।

তবে এই মারামারির কথা অভিযানিক টিমের ইনচার্জ শাহ আলম এড়িয়ে গেলেও তার সাথে দীর্ঘক্ষণের আলাপচারিতায় কিছুটা আভাস পাওয়া গেছে। তাছাড়া নৌপুলিশের কয়েকজন সদস্য এ প্রতিবেদকের কাছে স্বীকার করেছেন। এমনকি বিষয়টি কালিগঞ্জ নৌপুলিশের কর্মকর্তারাও বিভিন্ন মাধ্যম অবগত হয়েছেন। কিন্তু তারা কেউই না প্রকাশ না করার শর্ত দিয়েছেন।

তবে পরিশেষে এএসআই শাহ আলম দাবি করেছেন, ওই দিন তার ডিউটি থাকলে অসুস্থতার কারণে তিনি না যেতে পারায় দায়িত্ব পালন করে সমমর্যদার কর্মকর্তা আশরাফ।

নৌ পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ট্রলারসহ মাঝি নিয়ে অভিযানে গেলে যথার্থ মূল্য দিতে না পারায় অভিযানে উদ্ধার জাল বা মাছের কিছু অংশ দিয়ে দেওয়া হয়। কখনও কখনও বেশি পরিমাণ জাল ও মাছ মাঝিদের দিয়ে তাদের কাছ থেকে পুলিশ সদস্য মোটা অংকের টাকা আদায় করে থাকেন।

সূত্রটি জানায়, এর পূর্বে আরও দুটি অভিযানে কনস্টেবল হায়দার ও তরিকুল অংশগ্রহণ করে এবং তাদের সেই অভিযানেও বিপুল পরিমাণ জাল উদ্ধার হয়। সেখান থেকে কিছু জাল পুড়িয়ে ধংস করা হলেও বাদবাকি মাঝিকে দিয়ে দেওয়া হয়।

অভিযোগে শোনা যাচ্ছে, সেই জাল বিক্রির ভাগ কনস্টেবল হায়দার অনেকের চেয়ে কম পেয়েছেন, এনিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে তরিকুলের সাথে ওই দিন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

এই বিষয়টি ট্রলারের মাঝি কালাম এ প্রতিবেদকের কাছে স্বীকার করলেও বিস্তার কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি।

তবে এই বিষয়ে হায়দার বা তরিকুলের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব না হলেও থানা পুলিশের ওসি হাসানাতুজ্জামান বলছেন, তিনি ছুটিতে আছেন, বিস্তারিত সম্পর্কে কিছুই জানেন না। কিন্তু ঘটনাটি যে ভাবে বলা হচ্ছে, তাতে দুই পুলিশ সদস্য মারাত্মক অপরাধ করেছেন। কর্মস্থলে ফিরে বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন।

পুলিশ সুপার কপিল উদ্দিন বলেছেন, তিনিও বিষয়টি সম্পর্কে মোটেও অবগত নন। তাছাড়া থানা পুলিশের পক্ষ থেকেও তাকে কিছু অবহিত করা হয়নি। তারপরেও বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর