সরকারি নির্ধারিত ফি  অমান্য করে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ!  বরিশালের বেসরকারী  মর্ডান টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ!!

নিজস্ব প্রতিনিধি >> বরিশাল নগরীর রুপাতলী মর্ডান টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সরকার নির্ধারিত ফির চেয়ে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের অভিযোগ উঠেছে কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, নির্ধারিত বোর্ড ফির নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মর্ডান টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজে কর্তৃপক্ষ বাধ্যতামূলক ব্যবসায় শিক্ষায় প্রায় ১০ হাজার টাকা হারে রসিদ বিহিন গ্রহণ করছে। অভিযোগকারীরা বলেন, অতিরিক্ত টাকার ব্যাপারে প্রশ্ন করলে শিক্ষকরা হুমকি-ধমকিসহ নানা ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা দরিদ্র পরিবারের সন্তান। বাড়িতে থেকে খেয়ে না খেয়ে আমাদের কলেজে অল্প খরচে পড়ালেখা করছিলাম; কিন্তু করোনাকালীন সময়ে অতিরিক্ত ফি নেওয়ায় আমাদের পরিবারে চাপ হচ্ছে। তারা আরও বলেন, এই কলেজের অনিয়ম অনেক যে সকল ছাত্র- ছাত্রীরা লেখাপড়া করেনা তাদের শুধু সার্টিফিকেট প্রয়োজন ওই সকল ছাত্র-ছাত্রীরা এখানে ভর্তি হয় বেশি আর এই সুযোগে কলেজের অধ্যক্ষ হাতিয়ে নেয় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা।

অভিযোগকারী মানবাধিকার কমিশনের সাধারন সম্পাদক ও উক্ত কলেজের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. ইসমাইল বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ব্যবসায় শিক্ষায় নির্ধারিত বোর্ড ফি ৮০০ টাকা ও কেন্দ্র ফি ৩০০ টাকা আদায়ের জন্য বলা হয়েছে। অতিরিক্ত কোনো টাকা কলেজ কর্তৃপক্ষকে না দেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

তারা বলেন, তারপরও মর্ডান টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজে কর্তৃপক্ষ কলেজ ফির নামে অতিরিক্ত ৯ হাজার ৬০০ টাকা করে প্রতি শিক্ষার্থীর নিকট থেকে আদায় করছে। এ কলেজ থেকে প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থী ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেছেন। ওই হিসেবে কলেজ কর্তৃপক্ষ বেআইনিভাবে ২১ লাখ ৩২ হাজার ৫০০টাকা অতিরিক্ত আদায় করেছে।

শিক্ষার্থীরা জানান, যে টাকা ধার্য্য করেছে তাই দিতে হবে, না দিলে বোর্ডে টাকা পরিশোধ হয়নি লিখে দিবে বলে হুমকি দেয় অধ্যক্ষ ও প্রতিষ্ঠাতা সেলিম রেজা।

অভিযোগের বিষয়ে অধ্যক্ষ ও প্রতিষ্ঠাতা মো: সেলিম রেজা বলেন, ফরম পূরণ বাবদ বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে না। কলেজের বেতন অন্যান্য বকেয়া ফি সেটা সংযুক্ত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এই কলেজের জায়গা ক্রয় এবং এত বড় ভবন তৈরি করতে টাকা লেগেছে তা কি সরকার দিয়েছে সবইতো ছাত্র-ছাত্রীদের টাকায় হয়েছে। তিনি আরোও বলেন, এত দিন স্কুল কলেজ বন্ধ ছিলো শিক্ষকের বেতন দিতে হয়েছে তা তো সরকার দেয়নি। এমনকি কলেজটি আমার, সরকারে নিয়মে চালালে আমার প্রতিষ্ঠান থাকবে না। তাই আমি আমার মতো করে ফি আদায় করছি। সেলিম রেজা বলেন, সকল শিক্ষার্থীদের আমি উপবৃত্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছি। তাই শিক্ষার্থীরা প্রায় ১২ হাজার টাকা পায়, সেই টাকাও তো আমি নিচ্ছি না।

এ ব্যাপারে বরিশাল টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নুর উদ্দিন আহমেদ প্রতিনিধির সামনে বসে মর্ডান টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সেলিম রেজার কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি করোনালীন সময়ের বেতন আদায় করছি তাতে কোনও কোনও ছাত্ররর ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা হয় তাই আমি নিচ্ছি। তবে বরিশাল টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল প্রতিনিধির কাছে সব ডকুমেন্ট দিতে বলেন, কিন্তু মর্ডান টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সেলিম রেজা প্রতিনিধি একাধকি ভার ফোন দিলেও রির্সিভ করেননি।