বরিশালের ঐশী সুপার সপ ‘এর মাদকাসক্ত বৃষ্টির হেনস্থায় থানায় জিডি (!)

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী থেকে বরিশালে এসেও নিস্তার পেলেন না রাকিব। সেই রাজশাহী থেকে বৃষ্টি এখন বরিশালে এসেও মাদক সেবন ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করেছেন মাদকাসক্ত বৃষ্টি।
রাজশাহীর ভবানিগঞ্জের বাঘমারার বাদশা মিয়ার মেয়ে সোহানা আক্তার বৃষ্টি। বৃষ্টির সাথে প্রেম করে বিয়ে হয় রকিবুল হাসান এর। এরপর মাত্র কয়েকদিন সংসার করার পরেই আবার দুজনের বিবাহ্ বিচ্ছেদ ঘটে। রকিবুল হাসানের অভিযোগ, বৃষ্টি মাদকাসক্ত নারী হওয়ায় তার সাথে সংসার করা সম্ভব হয়নি বরং পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ ও সামাজিকভাবে হয়রানির শিকারও হতে হয়েছে তাকে। এছাড়াও রাজশাহী জেলার বোয়ালিয়া থানায় বৃষ্টিকে মাদক সেবন অবস্থায় আটকের পর মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হলেও পরিবর্তন ঘটেনি তার। এরপর বিভিন্ন সময়ে নেশার তাগিদে টাকা চাওয়া ও হয়রানি করে টাকা আদায় করা পেশায় পরিণত হয় বৃষ্টির। এ বিষয়ে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় ২৫ অক্টোবর ২০২১ তারিখে একটি জিডি হয় (নম্বর ১২৭৯)।

জিডিতে ভুক্তভোগী হিসেবে রকিবুল নিজেকে হুমকির সম্মুখীন বলে দাবি করে লিখিছেন ‘ ঐশী সুপার সপ এ কর্মরত আমার সাবেক স্ত্রী ও ম্যানেজার আহাদ আমাকে হুমকি দিচ্ছে। আর সাবেক স্ত্রী বৃষ্টি জিম্মি করে টাকা নেয়। গত ২৫ অক্টোবর ২০২১ তারিখ বিকাল চারটার দিক ঐশী সুপার সপ এর ম্যানেজার আমাকে ফোন করে বৃষ্টির পক্ষ নিয়ে ভয় দেখিয়ে হুমকি দেয়। ‘

রকিবুল আরও অভিযোগ করেন সাবেক স্ত্রী বৃষ্টি মাদকের সাথে সরাসরি জড়িত।

অভিযোগ রয়েছে এই সোহানা আক্তার বৃষ্টি মাদকসেবী কেয়ার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী। এই একই স্থানের কেয়াই মাদকের মুল হোতা। কেয়ার মায়ের নামেও রাজশাহীতে মাদক মামলা রয়েছে। বৃষ্টির মাদক দাতাই এই কেয়া।

বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত সোহানা আক্তার বৃষ্টি মাদকাসক্ত বলে থানায় মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পাওয়ার বিষয়, টাকা লেনদেনের ঘটনা স্বীকার করেন। এবং রকিবুল হাসানকে উল্টো অভিযোগ করেন।

ঐশী সুপার সপের সত্ত্বাধিকারী আজগর হোসেন কর্মচারী বৃষ্টির পক্ষে মন্তব্য করে বলেন ‘ রাকিবুল বিরক্ত করতো বৃষ্টিকে জানতাম। তবে মাদকাসক্ত বিষয়ে আমি জানা নেই।’

কোতোয়ালি থানা সূত্রে জানা যায়, জিডির তদন্ত শুরু হয়েছে এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কাজ শুরু করেছেন।