বিশেষ প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এর সম্মূখে এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রঙ্গনে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন শিক্ষানবীশ আইনজীবীরা ।

আজ ৭ জুলাই (মঙ্গলবার) সকালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের প্রিলিমিনারি (এম.সি.কিউ) পরীক্ষায় ২০১৭ ও ২০২০ সালে উত্তীর্ণ শিক্ষানবীশরা সরাসরি গেজেটের মাধ্যমে আইনজীবী হিসেবে সনদের দাবিতে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এর সম্মূখে এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রঙ্গনে পালন করেন।

এর আগে সনদের দাবীতে গত ৩০ জুন (মঙ্গলবার) একই সাথে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবসহ, বরিশাল, গোপালগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নোয়াখালী, কুমিল্লা, মানিকগঞ্জ, বাগেরহাট, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা করেন। ২০১৭ ও ২০২০ সালে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনকারী ৯০ হাজার পরীক্ষার্থী বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের অত্যন্ত প্রতিযোগিতাপূর্ণ এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে, এর মধ্যে মাত্র ১২ হাজার ৮৮৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারিতে সর্বশেষ অনুষ্ঠিত এমসিকিউ পরীক্ষা হওয়ার পর ৩ মাসের মধ্যে লিখিত পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও বৈশ্বিক মহামারি করোনার জন্য তা নেয়া সম্ভব হয়নি। কবে পরিবেশ সৃষ্টি হবে তারও কোন নিশ্চয়তা নাই। এছাড়া, নিয়মিত বার কাউন্সিলের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হওয়ারও নজীর নাই, তাই বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনকারী অনেক শিক্ষার্থী আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হতে পারছেন না। ফলে, আইনজীবি হিসেবে আইন পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে পারছেন না । এ অবস্থায় এক ধরণের মানবেতর জীবনযাপন করছে। অন্যদিকে পরিবার তথা সমাজের কাজে বোঝা হিসেবে জীবন যাপন করছে। উল্লেখ্য, এর আগে পরীক্ষার দাবীতে আমরা আন্দোলন করে ২৮ ফেব্রুয়ারী  প্রিলিমিনারী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

অবস্থান কর্মসূচীতে উপস্থিত বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে আইনজীবিদের তালিকাভুক্তি করা কিন্তু আপনারা তা অবহেলা করছেন। আমরা অঙিকার করছি দেশের আইন অঙ্গনে সঠিক আইন চর্চা ও গবীর, অসহায় ও দুঃস্থদের সেবাদানে লক্ষ্যে সদা বদ্ধপরিকর। আমরা সবিনয় অনুরোধ করছি- মানবতার মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাই মহামারীর কারণে ডাক্তার, নার্স নিয়োগ দিয়েছে, আমাদের প্রতি মানবিক হয়ে মানবতার মা প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করুন। এবং গত ২০১৭ ও ২০২০ সালের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ন শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করার পাশাপাশি ২০২০ সালের মধ্যেই এনরোলমেন্ট প্রসেস সম্পন্ন করার অনুরোধ জানায়। প্রতি বছর পরীক্ষা গ্রহনের ২০১৭ সালের আপিল বিভাগের রায় আছে। তারা সেই রায়টি কার্যকর করার দাবি জানান। মুজিব শতবর্ষ থেকেই আপিল বিভাগের রায় কার্যকর করা হোক।

এছাড়া, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে সকল শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের সরাসরি গেজেটের মাধ্যমে আইনজীবী হিসেবে সনদ প্রদানের দাবীতে গত ৬ই জুন বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ও আইন মন্ত্রণালয় বরাবর স্মারকলিপি প্রেরণ করেন এবং গত ৯ই জুন সকল জেলার শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্বারকলিপি দিয়েছেন।