নিজস্ব প্রতিবেদক:: আগুন আতঙ্কে মধ্যরাতে চাঁদপুরে আটকা পড়া বরিশালগামী সুরভী-৯ লঞ্চের স্টাফদের বিরুদ্ধে হামলার শিকার হয়েছেন যাত্রীরা। এ ঘটনায় লঞ্চের ম্যানেজার মো. মিজানকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন লঞ্চের পরিচালক রেজিন-উল-কবির।চাঁদপুর থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে আগুন নেই তা নিশ্চিত হওয়ার পর লঞ্চটি ছাড়া হয়। সেটি রোববার বেলা ১০টার দিকে বরিশাল নদীবন্দরে নোঙর করে।
যাত্রীরা বলেন, ‘লঞ্চ থেকে ধোঁয়া বের হওয়ার ঘটনাটি যেসব যাত্রী মোবাইলে ধারণ করে ফেসবুকে দিয়েছিলেন, সেসব যাত্রীকে খুঁজে ব্যাপক মারধর শুরু করেন স্টাফরা।
সুরভী-৯ লঞ্চের যাত্রী হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি সুরঞ্জিৎ দত্ত লিটু বলেন, ‘আমরা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সম্মেলন শেষে ঢাকা থেকে ফিরছিলাম। পথের মাঝে যা হওয়ার হয়েছে। বরিশাল ঘাটে পৌঁছানোর পর আমাদের ছাত্র-যুব-ঐক্য পরিষদের নেতা আবির কুন্ডু ও সুজয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় লঞ্চের স্টাফরা।
সারা রাত ঘুমাতে পারেনি লঞ্চের যাত্রীরা। এরপর এই লঞ্চ স্টাফরা হামলা করেছে। এই লঞ্চে যাত্রীসেবা নয়, যাত্রীদের জিম্মি করা হয়।’বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমার সামনেই ঘটনা ঘটেছে। আমি লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।’
মাঝ নদীতে আগুন আতঙ্কে শনিবার মধ্যরাতে বরিশালগামী এমভি সুরভী-৯ লঞ্চকে চাঁদপুরে আটকে দেয় নৌ-পুলিশ। যাত্রীদের কাছ থেকে ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে চাঁদপুরের মোহনপুর লঞ্চঘাটে লঞ্চটি আটকে দেয়া হয়।
Leave a Reply