আজকাল ডেস্ক।। বরিশালের হিজলা উপজেলাধীন গুয়াবাড়ীয়া ইউনিয়নের মাসকাটা গ্রামে নিজাম সরদারের স্ত্রী লিপি’কে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে ফারুক হাওলাদারের বিরুদ্ধে। গতকাল (১৩জুলাই) সোমবার রাত ১২ টার দিকে নিজাম সরদারের বসত বাড়িতে লিপি বেগম ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় হিজলা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়- ধর্ষণকারী একই গ্রামের মৃত আ: রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে ফারুক হাওলাদার (৩৫) ফারুক হাওলাদার লিপি বেগমকে গত ৮ বছর ধরে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। প্রায়ই লিপি বেগম কে ফারুক মুঠোফোনে বিভিন্ন ধরনের ভয় ভিতিসহ নানান ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দেয়। অতপর তার প্রস্তাবে রাজি না হলে লিপি বেগমের এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তান সহ তাকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। প্রানের ভয়ে লিপি বেগম ফারুক হাওলাদারের প্রস্তাব মেনে নিতে বাধ্য হন। বিগত এক বছর পূর্বে নিজাম সরদারের ঘরে ফারুক দরজা খুলে লিপি বগমের সাথে কুকর্ম করতে গেলে সেখানে এলাকার কিছু লোকজোন হাতে নাতে ধরে কিন্তু অর্থের বিনিময়ে ফারুক পার পেয়ে যায় ও ফারুকের পরিবার এক পর্যায়ে লিপি বেগমকে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখায়। নিজাম সরদার এই বিষয়ে জানতে পেরে লিপি বেগমকে স্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে চাননি।
ফারুকের মা লিপি বেগমকে তার পুত্রবধূ করে আনার আস্বাস দেয়, কিছুদিন অতিবাহিত হলে ভূলে জান সে সব কথা। লিপি বেগম অসহায় হয়ে বাবার বাড়ি চলে গেলে নিজামের হাত পা ধরে ক্ষমা চেয়ে স্বামীর ঘরে লিপি বেগম আবার ফিরে আসেন।
লিপি বেগম বলেন, বখাটে ফারুক আবারও বিভিন্ন ধরনের পায়তারা শুরু করে, এক পর্যায়ে ফারুক লিপি বেগমের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে বার বার ফোন দিয়ে লিপির মন গলানোর চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে লিপি বেগম ফারুকের ফোনে কোন প্রকার সাড়া দিতে না চাইলে সন্তান সহ তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। সে ফারুককে জোর অনুরোধ করে বলে দয়া করে আপনি আমার স্বামীর ঘর ভেঙ্গে দিবেন না, আমার দুটি সন্তান রয়েছে, জবাবে ফারুক বলে ওয়াদা দিলাম তোমার স্বামী তোমাকে মেনে না নিলে আমি তোমাকে সন্তান সহ স্ত্রী হিসেবে মেনে নিব। তারপরও সে কোন প্রকার তাকে প্রশ্রয় দেননি। লিপি বেগমের ফারুক ফোন দিয়ে জানতে চায় তার স্বামী বাড়ি থেকে কর্মস্থলে কবে যাবে। সুযোগের অপেক্ষায় ১২ জুলাই ভোলার উদ্দেশ্যে নিজাম চলে গেলে ফারুক সেই সুযোগে গভির রাতে লিপির ঘরের দরজা নক এবং বলে জরুরী কথা আছে অতঃপর ঘরের বাতি জ্বালিয়ে দরজা খুলতেই ফারুক সহ তার সহযোগীরা ভিতরে প্রবেশ করে। সহযোগী পাহারায় থাকলে ফারুক অপকর্মে লিপ্ত হয়, পরে ফারুকের সহযোগী মুখ চেপে ধরে অপকর্ম করার চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে লিপি চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে।
এই বিষয়ে লিপি বেগম বাঁচার তাগিদে প্রসাশনের সরনাপন্ন হয়ে সুপরামর্শ মোতাবেক মঙ্গলবার হিজলা থানায় লিপি নিজে বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অসীম কুমার সিকদার জানান, মামলা হয়েছে এবং আসামী গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।
Leave a Reply