ঢাকায় জেকেজি ও রিজেন্ট হাসপাতালে করোনাভাইরাসের ভুয়া সনদ দেওয়ার খবর যখন দেশজুড়ে আলোচনায়, তখন একই অভিযোগে পাবনার ঈশ্বরদীতে রূপপুর মেডিকেয়ার ক্লিনিক সিলাগালা করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। জাল কোভিড-১৯ সনদ দেওয়া এবং চিকিত্সার জন্য বাড়তি ফি আদায়ের অভিযোগ ক্লিনিকটির বিরুদ্ধে। ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আসমা খান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়ে ওই ক্লিনিকে অভিযান চালান এবং সেটি বন্ধ করে সিলগালা করেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অভিযান শেষে আসমা খান জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমতি না নিয়েই ওই ক্লিনিক রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্থানীয় সাব-কন্ট্রাক্টিং প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের নমুনা সংগ্রহ করে এবং পরে জাল করোনা পরীক্ষার সনদ দেয়। তিনি জানান, গত ৮ জুলাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ওই ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে মালিক আবদুল ওহাব রানাকে জাল কোভিড-১৯ সনদ দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে এবং পরের দিন, পাবনার একটি আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়। ক্লিনিকটি কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য অনুমোদিত নয়। অভিযান চালিয়ে মালিককে গ্রেপ্তার করার পরও ক্লিনিকটি বন্ধ করা হয়নি বলে এটি এখন সিলগালা করে দেওয়া হলো। অনুমোদন না থাকার পরও ক্লিনিকে কোভিড-১৯ পরীক্ষার অভিযোগে ক্লিনিকের মালিক আবদুল ওহাব রানা, তার সহযোগী ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. আবু সাঈদ ও সুজন আহমেদের বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানায় মামলা করা হয়েছে। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, তারা আবু সাঈদের সই দিয়ে রিপোর্ট সরবরাহ করত। প্রতিটি পরীক্ষার জন্য ক্লিনিকে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা নেওয়া হতো।
Leave a Reply