শোনা যাবে না বিবিসি বাংলার রেডিও শোনা যাবে না বিবিসি বাংলার রেডিও – ajkalbd24.com
  1. admin@ajkalbd24.com : admin : H.M Aslam
  2. akazadjm@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  3. ajkalbd24.com@gmail.com : ajkalbd24 : Niaz Mohammad
  4. hafijakhan804@gmail.com : ajkal1 : ajkal1
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন

শোনা যাবে না বিবিসি বাংলার রেডিও

আজকাল ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ১ জানুয়ারি, ২০২৩
  • ৮১ সময় দর্শন

অগণিত শ্রোতার দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে ৮১ বছর ধরে জড়িয়ে থাকা বিবিসি বাংলার রেডিও সম্প্রচার বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশন (বিবিসি)। শুধু বাংলা নয়-আরবি, ফার্সি, চীনা, কিরগিজ, উজবেক, হিন্দি, ইন্দোনেশিয়ান, তামিল ও উর্দু ভাষার রেডিও সম্প্রচারও আর শোনা যাবে না বিবিসিতে।

বিবিসি বাংলা রেডিওর শেষ দুটি অধিবেশন প্রচারিত হয় শনিবার রাতে। কোনো ভাষা বিভাগই অবশ্য পুরোপুরি বন্ধ হচ্ছে না। অনলাইন সংবাদমাধ্যম হিসাবে অনেক ভাষার কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে বিবিসি।

সেই সঙ্গে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস থেকে ৩৮২ জন কর্মী কমানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে, যাতে বছরে খরচ কমবে ৩২০ কোটি টাকার বেশি।

বিবিসি বাংলায় যেসব রেডিও অনুষ্ঠান হয়, তা এখন ওয়েবসাইটেও শোনা যায়। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এসব অনুষ্ঠান আর কোনো মাধ্যমেই শোনা যাবে না। তবে ডিজিটাল মাধ্যমে বিবিসি বাংলার অন্যান্য কন্টেন্ট উপভোগ করা যাবে। আর লন্ডনে বিবিসি সদর দপ্তরে যেসব বিদেশি ভাষার বিভাগ আছে, কিছু দেশের ক্ষেত্রে সেখানেও কিছু কাটছাঁট করে সেসব দেশে অফিস চালু রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে গার্ডিয়ান।

বিবিসি বাংলার সম্পাদক সাবির মুস্তাফা বলেন, বিবিসি বেশ কিছু দিন ধরে ডিজিটাল প্লাটফরমের ওপর বেশি জোর দিচ্ছে, এখন এই পরিবর্তনের প্রক্রিয়া আরও ত্বরান্বিত করা হবে। ১৯৪১ সালের ১১ অক্টোবর বাংলায় ১৫ মিনিটের সাপ্তাহিক সম্প্রচার শুরুর মধ্য দিয়ে যাত্রা করেছিল বিবিসি বাংলার রেডিও কার্যক্রম। পর্যায়ক্রমে সংবাদ সম্প্রচার শুরু হয় ১৯৬৫ সালে।

৮১ বছরের বিবর্তনের ধারাবাহিকতায় রেডিওতে এখন ‘সংবাদ ও দৈনন্দিন ঘটনাবলী’ নিয়ে ৩০ মিনিটের দুটি অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে বিবিসি বাংলা। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ‘প্রবাহ’ আর রাত সাড়ে ১০টায় ‘পরিক্রমা’ এখনও শুনতে পান শ্রোতারা।

ইন্টারনেট, টেলিভিশন আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবরের ছড়াছড়ির মধ্যেও সন্ধ্যা বা রাতে বিবিসি বাংলার খবর শোনার অভ্যাসটা টিকিয়ে রেখেছিলেন সরাইলের ভূইশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার। সেই সম্প্রচার বন্ধের খবরে মন খারাপ তার।

তিনি বলেন, প্রযুক্তি তো বদলে গেছে। রেডিও আর নেই বললেই চলে। এখন আর দরকারও পড়ে না। আমি যতটুকু পারছি, খবর শুনছি। রিপোর্টগুলো আমার ভালো লাগে, উপস্থাপনা গোছানো হয়, তথ্যবহুল মনে হয়। এখন যদি বন্ধ হয়ে যায়, শোনা হবে না-স্বাভাবিকভাবে মন তো খারাপ হবেই।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর