বরিশালের গৌরনদী পৌরসভায় একটি পরিত্যক্ত ঘরে বিস্ফোরণে এক যুবক দগ্ধ হয়েছেন; পুলিশ সেখান থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে।রোববার দুপুরে পৌরসভার গোবর্দ্ধন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে গৌরনদী মডেল থানার ওসি আফজাল হোসেন জানান। দগ্ধ রিফাত মৃধাকে (২২) বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বরিশাল নগরীর সাধুর বটতলা এলাকার সোহেল মৃধার ছেলে।

পুলিশ জানায়, যে ঘরে বিস্ফোরণ ঘটেছে সেটির মালিক নাজমুল সরদার। তিনি পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আতিকুর রহমান শামীমের চাচাতো ভাই। তার পাশের বাড়িটিই আতিকুর রহমান শামীমের।

ওসি আফজাল বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে একটি গ্যাস সিলিন্ডার, বিস্ফোরকসহ কিছু সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে। কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটেছে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত না করে নিশ্চিত করে বলতে পারব না।”

তিনি আরও বলেন, “দগ্ধ যুবককে টোকাই বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর বেশি কিছু এখনও জানতে পারেনি পুলিশ।”গৌরনদী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান শামীম টোয়েন্টিফোর বলেন, “ঘটনার সময় আমি বাসায় ছিলাম না। নামাজ পড়ার জন্য মোবাইল ফোন অফ করে রেখেছিলাম। দুই-তিন ঘণ্টা পর চালু করলে বিষয়টি জানতে পারি। তখন বাসায় এসে দেখি র‌্যাব-পুলিশ এলাকা ঘিরে রয়েছে।

কাউন্সিলর শামীম আরও বলেন, “আমার চাচাতো ভাই নাজমুল সরদার ঢাকায় থাকেন। ওই ঘরটি পরিত্যক্ত ছিল। দগ্ধ যুবক চোর না টোকাই বলতে পারব না। ঘর থেকে বিস্ফোরণের শব্দ হয়েছে। পরে ছেলেটাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।”

স্থানীয়রা জানান, বিস্ফোরণের বিকট শব্দে পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। মানুষ তখন আতঙ্কিত হয়ে সেদিক-সেদিক দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। পরে তারা সেখানে গিয়ে একজনকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে বরিশালে স্থানান্তর করা হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক টিপু সুলতান বলেন, “আহতের শরীরের বিভিন্ন স্থান দগ্ধ হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।”