গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, আমরা দোয়া করি, শেখ হাসিনা ডামি প্রধানমন্ত্রী আর পুলিশ প্রধান ফুল মন্ত্রী হোক। বাংলাদেশের নির্বাচনে এমপি হওয়ার মনোনয়ন বিক্রি হয় ভারতে। এমনকি এই নির্বাচনে প্রার্থী নিজেই বলে আমি ভারতের প্রার্থী। নির্বাচন কী হবে, ভোটের হার সবই ঠিক হয়ে গেছে। শুধু রাষ্ট্রের কয়েক হাজার কোটি টাকা প্রার্থী, ডিসি-এসপিসহ বিভিন্ন জনকে ভাগ-বাঁটোয়ারা করে দিতেই ৭ জানুয়ারি ভোটের নাটক।

আজ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) গণসংযোগ পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতি বলা হয়, শান্তিনগর মোড়ে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ পূর্ব সংক্ষিপ্ত পথসভা করে গণঅধিকার পরিষদ। পথসভা শেষে শান্তিনগর মোড়, মালিবাগ ও মৌচাক এলাকায় লিফলেট বিতরণ করা হয়।

নুরুল হক নুর বলেন, নির্বাচন চলছে, আমরাও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই। ভোট দিতে চাই। তাহলে কেন নিজেদের জীবন বিপন্ন করে নির্বাচন বিরোধী আন্দোলন করছি। কারণ, সরকার আগামী ৭ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচন করে ফেললে দেশের উপর নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা আসবে। বাংলাদেশ বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হবে। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কাজেই দেশের অস্তিত্ব ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ রক্ষায় আমাদেরকে এই আন্দোলন করতে হচ্ছে। আপনারা দেখছেন পুলিশ আমাদের এখানে দাঁড়াতে দিচ্ছে না। বার বার শেষ করতে বলছে, মাইক ব্যবহার করতে নিষেধ করতেছে। একটা রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি কতক্ষণ চলবে, কি বক্তব্যে হবে তাও পুলিশ ঠিক করে দেবে? মনে হচ্ছে দেশে পুলিশি শাসন চলছে।

তিনি বলেন, আমরা জনগণকে এই ভারতীয় মদদের একতরফা নির্বাচন বর্জনের কথা বলছি। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। জনগণকে সাথে নিয়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যেমে এই সরকারের পতন ঘটানো হবে।

গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য শাকিল উজ্জামানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদ খাঁন, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন,রবিউল হাসান,যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান,ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব, সহ সভাপতি নাহিদ উদ্দিন তারেক,শ্রমিক নেতা মাহবুবুল হক শিপন প্রমুখ।