নিজস্ব প্রতিনিধিঃঃ বরিশালে হস্তান্তরের আগেই ভেঙে পড়ে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে মুজিববর্ষ উপলক্ষে নির্মিত প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর ১১টি ঘর। স্থান নির্ধারণে ভুল সিদ্ধান্ত ও নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে তৈরি করায় এসব ঘর ভেঙে পরা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
ঘটনাটি জেলার মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানকার নির্মিত ৪০টি ঘরের মধ্যে ইতোমধ্যে ১১টি ঘর ভেঙে পরেছে। একইসাথে এসব ঘর জোয়ারের পানি উঠলেই তলিয়ে যাচ্ছে। ফলে হস্তান্তরের আগেই বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পরেছে ঘরগুলো।
শুক্রবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহাদাত হোসেন মাসুদ বলেন, ঘর বরাদ্দ ও জায়গা নির্বাচন সর্ম্পকে আমার কিছু বলার নেই। কারণ আমি এসেছি মাত্র দুই মাস আগে। আমি এখানে আসার আগেই ঘর নির্মানের কাজ শুরু করা হয়েছে। তবে ভেঙে যাওয়া ঘরগুলো মেরামতের কাজ শুরু করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সূত্রমতে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় শ্রীপুর ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামে ৪০টি ঘর নির্মাণ করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, স্থান নির্বাচনে ভুল সিদ্ধান্ত ও নিন্মমানের কাজ করায় হস্তান্তরের আগেই ঘরগুলো ভেঙে পরছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হারুন-অর রশিদ ঘরগুলো নির্মাণ করেছেন বলেও স্থানীয়রা জানিয়েছেন। ঘর ভেঙে পরার পিছনে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসকে দায়ী করেছেন স্থানীয় প্রশাসনের গঠিত টেকনিক্যাল কমিটি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বাহেরচরের ৪০টি ঘরে পানি উঠে তলিয়ে যায়। এরপর দু’টি ঘর পুরোপুরি ভেঙে যায়। পাশাপাশি আরও নয়টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘর ভেঙে পরার পর একটি তদন্ত কমিটি গঠণ করা হয়েছিল। কমিটির প্রতিবেদনে নির্মাণ ত্রুটিতে নয়; ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ঘর ভেঙে পরেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরও বলেন, পরবর্তীতে ঘর মেরামতের বরাদ্দের আবেদন করা হয়। কিন্তু বরাদ্দ পেতে বিলম্ব হওয়ায় সংস্কার কাজ শুরু করতেও সময় নিতে হয়েছে। গত তিনদিন পূর্বে মেরামতের কাজ শুরু করা হয়েছে। উপকারভোগীরা যেমন চাইবেন সেভাবেই ঘরগুলো মেরামত করে দেয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন
Leave a Reply