বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ২৮ নং ওয়ার্ডে উপনির্বাচনে হেরে যাওয়ায় অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। বৃহস্পতিবার ৭ই অক্টোবর উপনির্বাচন সারাদিন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলেও বিকাল সোয়া ৫ টার দিকে ফলাফল ঘোষণার পরই ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় ওয়ার্ডে। মামলা সূত্রে জানা যায়, এয়ারপোর্ট থানাধীন কাশীপুরের অন্ধ মাদ্রাসা ও প্রশিকা অফিসের সামনে নির্বাচনে জয় লাভ করা জাহিদ হোসেন রুবেল’র নির্বাচনী এজেন্ট ও তার বন্ধু জহির উদ্দিন বাবর, মাহমুদ হোসাইন মামুন, নুরুল হক মিয়াজী হেঁটে যাচ্ছিল পথিমধ্যে তাদের উপর নির্বাচনে হেরে যাওয়া সৈয়দ গোলাম কবির মামুনের ছেলে সৈয়দ রাব্বি, ফারুক মিরার পুত্র রামিম, রাফি, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের জহির মুন্সির পুত্র মাদক ব্যবসায়ী নয়ন মুন্সি, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝি বাড়ির সাগর, কাশিপুর বাজার সংলগ্ন কামালের পুত্র সুমন,হরিপাশা ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাজী বাড়ির স্বাধীন,কমির খাঁর পুত্র- মাসুম,রতন মৃধার পুত্র-তারেক মৃধা,কাজী হারুনের পুত্র-অরুন,কাজী ফারুকের পুত্র- সাব্বির, সাগর মাঝি, আব্দুল কালামের পুত্র- সুমন, পেশকারের পুত্র- সামিতসহ অজ্ঞাত ২৫/৩০ জনের একটি বাহিনী তাদের উপর মিয়াজী বাড়ি সংলগ্ন রাস্তায় অতর্কিত হামলা চালায়। সেই সময় নির্বাচনী তথ্য সংগ্রহ শেষে দৈনিক বরিশাল সমাচার’র পত্রিকার ফটো রিপোর্টার সবুজ, দৈনিক ভোরের অঙ্গীকারের পত্রিকার শিক্ষানবিশ রিপোর্টার শাকিল,ও কলমের কন্ঠের পত্রিকার রিপোর্টার রিপন রানা উক্ত স্থান থেকে যাওয়ার প্রাক্কালে হামলার ভিডিও ও ছবি ধারণ করতে গেলে সৈয়দ রাব্বির নেতৃত্বে তাদের উপরে হামলা চালিয়ে এক প্রর্যায় বগি দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে এবং তাদের কাছে থাকা সংবাদ সংগ্রহর কাজে দুটি ডিএসএলআর ক্যামেরা ও তিনটি এ্যন্ডোরেট মোবাইল সেট ভিডিও চলাকালিন সময় ছিনিয়ে নিয়ে যায়। হামলায় আহত সবাই বর্তমানে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। তবে হামলায় সাংবাদিক শাকিলের পিঠের উপরে কোপের আঘাতে গুরুতর অবস্থায় আছে তিনি। উল্লেখ্য সন্ত্রাসী সৈয়দ রাব্বি কাশীপুর বাজারে সেনিটারি ব্যবসা করেন। আহত সাংবাদিকদের দেখতে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) জাকির হোসেন মজুমদার, ও বিজয়ী কাউন্সিলর রুবেল এসময় রুবেল বলেন, আমি এই ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং দ্ররুত হামলাকারী রাব্বিসহ হামলাকারি সকলকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। হামলার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত রাব্বির পিতা সৈয়দ মামুনকে ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। হামলার বিষয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) জাকির হোসেন মজুমদার বলেন,আমরা নির্বাচনী সহিংসতায় বিষয়টি জানতে পেরেছি মামলা হয়েছে এবং আসামীদের সকলকে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা চলতেছে।
Leave a Reply