চরফ্যাসনে শিশু শিক্ষার্থীকে জুতা মুখে নিয়ে শাস্তি দিলেন শিক্ষক চরফ্যাসনে শিশু শিক্ষার্থীকে জুতা মুখে নিয়ে শাস্তি দিলেন শিক্ষক – ajkalbd24.com
  1. admin@ajkalbd24.com : admin : H.M Aslam
  2. akazadjm@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  3. ajkalbd24.com@gmail.com : ajkalbd24 : Niaz Mohammad
  4. hafijakhan804@gmail.com : ajkal1 : ajkal1
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

চরফ্যাসনে শিশু শিক্ষার্থীকে জুতা মুখে নিয়ে শাস্তি দিলেন শিক্ষক

আজকাল ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২১
  • ৪৫২ সময় দর্শন

ভোলার চরফ্যাসনে মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পলাশ চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে শ্রেণিকক্ষে মুখ দিয়ে জুতা কামড়িয়ে এবং কান ধরে উঠবস করিয়ে শাস্তি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৮নভেম্বর বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালীন সময়ে শ্রেণিকক্ষে এ ঘটনা ঘটে। ওই শিক্ষার্থীর বাবা অহিদুর রহমান এঘটনার বিচার দাবী করে গত রোববার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিযোগটি তদন্তের জন্য সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো.শফিকুল ইসলামকে দায়িত্ব দিয়েছেন। গতকাল শনিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল নোমান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

শিক্ষার্থীর বাবা অহিদুর রহমান অভিযোগে দাবি করেন,তার ছেলে হাসনাইন আহমেদ চরফ্যাসন মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র। বিগত ৮ নভেম্বর সহপাঠিদের সাথে তার কথা কাটাকাটি হলে সহপাঠিরা ক্লাস শিক্ষক পলাশ চন্দ্র দাস এর কাছে বিচার দেন। শিক্ষক পলাশ চন্দ্র দাস হাছনাইনকে শ্রেণিকক্ষে ডেকে নিয়ে শাস্তি হিসেবে কান ধরে উঠবস করান এবং জুতা কামড়িয়ে মুখে তুলে নিয়ে শাস্তি ভোগ করতে নির্দেশ দেন। শিক্ষকের ওই নির্দেশ পালনে শিক্ষার্থী গড়িমসি করলে শিক্ষক চাপ প্রয়োগ করে শিশু শিক্ষার্থী হাসনাইনকে জুতা কামড় দিয়ে মুখে তুলে নিতে বাধ্য করে তার নির্দেশ বাস্তবায়ন করান। তিনি বিষয়টি প্রধান শিক্ষক নিজাম উদ্দিনকে জানান এবং সুরাহার জন্য ৭দিন অপেক্ষা করেন। কিন্ত প্রধান শিক্ষক নিজাম উদ্দিন কোন সুরাহা না করায় ঘটনার ৭দিন পর গত ১৪ নভেম্বর, রোববার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।

অভিযুক্ত শিক্ষক পলাশ চন্দ্র দাস জানান, দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে কথা কাটাকাটির বিষয়টি তাকে জানানোর পর তিনি বিষয়টি মিমাংসা করে দিয়েছেন। কান ধরে উঠবস করানো কিংবা জুতা কামড়িয়ে শাস্তি দেয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলাম জানান, অভিযোগ তদন্ত করে উপজেলা নির্বাহি অফিসারের নিকট প্রতিবেদন দেয়া হবে। প্রধান শিক্ষক মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থী অভিভাবক বিষয়টি আমাকে ফোনে জানালে তাকে বিদ্যালয়ে আসতে বলেছি। কিন্তু তিনি আসেননি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল নোমান জানান, শিক্ষার্থী অভিভাবকের দেয়া অভিযোগটি তদন্তের জন্য সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলামকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর