নিজস্ব প্রতিবেদক:: বরিশালের মুলাদীতে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে পড়েছেন এক গৃহবধূ। মামলার পর ইউপি সদস্যর ভয়ে পরিবারটি পালিয়ে বেড়াচ্ছে ও তার  লোকজনের ভয়ে উপজেলার চরকালেখান ইউনিয়নের জালালাবাদ লক্ষ্মীপুর গ্রামের হুমায়ুন হাওলাদারের স্ত্রী সাথী আক্তার পরিবার নিয়ে আতঙ্কে দিন পার করছেন।

উপজেলার চরকালেখান ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সরোয়ার বেপারীর বিরুদ্ধে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা করেন ওই গৃহবধূ। মামলা তুলে নিতে আসামি ও তার লোকজন ওই গৃহবধূকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন গৃহবধূ সাথী আক্তার। এ ঘটনায় তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিগত ইউপি নির্বাচনের সময় সরোয়ার বেপারীকে ২০ হাজার টাকা ধার দেন ভ্যানচালক হুমায়ুন হাওলাদার। নির্বাচনে বিজয়ের পর সরোয়ার বেপারী টাকা পরিশোধে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। গত ১১ ফেব্রুয়ারি বেলা দেড়টার দিকে হুমায়ুনের স্ত্রী সাথী আক্তার সারোয়ারের কাছে টাকা চাইতে যান। ওই সময় সরোয়ার বেপারীর স্ত্রী ঘরে না থাকায় টাকা দেওয়ার নাম করে সাথী আক্তারকে ঘরে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানি করে। এতে বাধা দিলে সরোয়ার বেপারী তাকে মারধর করে।

এ সময় সাথী আক্তারের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে উদ্ধার করে মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে এক নার্স চিকিৎসা না দিয়ে সাথী আক্তারকে চুলের মুঠি ধরে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন। পরে সাথী বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

এ ঘটনায় সাথী আক্তারের স্বামী মুলাদী থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ সরোয়ার বেপারীকে ডেকে আনে এবং মামলা না নিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি গ্রহণ করে। পরে সাথী আক্তার বাদী হয়ে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে সরোয়ার বেপারীকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এতে সরোয়ার বেপারী ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে সাথী আক্তার ও হুমায়ুন হাওলাদারকে হত্যাসহ এলাকা ছাড়ার হুমকি দেয়।এ ঘটনার পর থেকে সাথী আক্তারের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে জানান।

ইউপি সদস্য সরোয়ার বেপারী ওই গৃহবধূকে শ্লীলতাহানি ও মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, ইউপি নির্বাচনে পরাজিত লোকজন নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে এবং ওই নারীকে দিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করিয়েছেন।

মুলাদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাকসুদুর রহমান বলেন, আদালতের নির্দেশক্রমে মামলার তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।