নিজস্ব প্রতিবেদক::পটুয়াখালীর দুমকিতে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় বিএনপি কার্যালয়ে ভাংচুর চালানো হয়। ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় পুলিশসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।আজ শনিবার (৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় গ্রামীণ ব্যাংক সড়কে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত বিক্ষাভ সমাবেশ সফল করতে শতাধিক নেতা-কর্মী দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়। একই সময় সারাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদে আওয়ামী যুবলীগের একটি বিক্ষোভ মিছিল ওই এলাকা অতিক্রমকালে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়।এদিকে দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরবর্তীতে আ’লীগ যুবলীগের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা বিএনপি কার্যালয় ঢুকে আসবাবপত্র চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করে। দুই পক্ষের সহিংসতায় পুলিশসহ অন্তত ৩০জন আহত হয়।

আহতদের মধ্যে বিএনপির আহবায়ক খলিলুর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক জাহিদ হাওলাদার, ফারুক হাওলাদার, যুবদলের সদস্য সচিব রিপন শরীফ, সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শামীম হাওলাদার, শ্রমিকদলের সভাপতি হাবিবুর রহমান, পুলিশ কনস্টবল দেলোয়ার হোসেন।আহতদের ৭ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় দুমকি উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় আ’লীগ-বিএনপি পরস্পরকে দায়ি করেছে।

আহত বিএনপির আহবায়ক মো. খলিলুর রহমান বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আ’লীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে দলীয় অফিস ভাংচুর ও অন্তত অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম তুহিনের দাবি, সারাদেশে জামায়াত-বিএনপির নৈরাজ্যের প্রতিবাদে যুবলীগের মিছিলে বিএনপির সন্ত্রাসীরা হামলা করলে দুই পক্ষে সহিংসতা হয়েছে।

দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুস সালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আহত পুলিশ সদস্য দেলোয়ার হোসেনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বরিশাল শেরে ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।