চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে সিফাতুল্লাহ সিফাত। হাতের লেখায় যিনি লাল-সবুজের এই দেশকে নতুন করে তুলে ধরতে চান বিশ্বের সামনে। ১৮ বছর বয়সী সিহাব নাম লেখাতে চান গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে।
উপজেলার বোয়লিয়া ইউনিয়নের কালুপুর গ্রামের স্কুলশিক্ষক শরিফুল ইসলামের ছেলে সিফাতুল্লাহ সিফাত। বর্তমানে তিনি রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজে অধ্যয়নরত। তার হাতের লেখা দেখলে যে কেউ বলবেন, এটি কম্পিউটার কম্পোজ। লেখাপড়ার পাশাপাশি হাতের লেখা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এরইমধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন তিনি।সিফাত বলেন, আমি ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে হ্যান্ড রাইটিং শুরু করেছি। সেই থেকেই শুরু। প্রথমে আমার লেখা তেমন ভালো না হলেও এখন অনেক নাম কুড়িয়েছি। অনেক মানুষ আমার হাতের লেখা দেখতে বাড়িতে ভিড় করেন।
তিনি আরও বলেন, আমার হাতের লেখার ছবি ফেসবুকে দিলে কেউ বিশ্বাস করতে চান না। সবাই বলে, এটি কম্পিউটার কম্পোজ। আমি এই লেখার মাধ্যমে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লেখাতে চাই।
সিফাতের বাবা শরিফুল ইসলাম বলেন, ছোট থেকে লেখাপড়ায় ভালো ছিল সিফাত। কিন্তু তার হাতের লেখা যে এত সুন্দর হবে তা আমি কল্পনা করিনি। এখন আমি নিজেই ওর হাতের লেখা দেখে অবাক হই। বাড়ির আশপাশের মানুষ তার হাতের লেখা দেখতে আসে। তাকে নিয়ে গর্বে বুক ভরে যায়।
বোয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শামিউল ইসলাম শ্যামল বলেন, সিফাতকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। সে অনেক মেধাবী ছেলে। তার এ প্রতিভার কথা মুখে বলার মতো না। সিফাতের হাতের লেখা দেখে মুগ্ধ হবে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না।বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হাতের লেখা প্রতিযোগিতায় অংশ নিলে সিফাত জয়ী হবেন বলে আশা করেন এই জনপ্রতিনিধি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা উপ- নিয়ন্ত্রক খোরশেদ আলম ভূঁইয়া বলেন, তার এ প্রতিভা বিরল। এত ছোট বয়সে সবার হাতের লেখা এত সুন্দর হয় না।
Leave a Reply