নিজস্ব প্রতিবেদক::: প্রেমের ফাঁদে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক করে তা ভিডিও করে এক তরুণীকে ব্লাকমেইলিং করে আসছিল বিশোর্ধ্ব আকাশ সরদার। এমনকি সমবয়সি তরুণীর সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে দু’দফা টাকাও হাতিয়ে নেয় যুবক আকাশ। পরবর্তীতে সেই ভিডিও হাতে রেখে তরুণীর ফের অর্থ দাবি করে। কিন্তু আকাশের দাবি করা টাকা না দেওয়ায় সর্বশেষ তরুণীর সেই ভিডিও তার ভাই এবং বান্ধবীর ফেসবুক মেসেঞ্জারে পাঠিয়ে দেয়। এমন অভিযোগের প্রেক্ষাপটে বুধবার অভিযুক্ত আকাশকে গ্রেপ্তারে নামে আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন (এপিবিএন)। সহকারি পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার দে’র নেতৃত্বে সর্বশেষ যুবক আকাশকে বাগে আনতে সক্ষম হয়েছে ১০-এপিবিএন, বরিশাল।
বৃহস্পতিবার রাতে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে সাইবার সন্ত্রাস আকাশ সরদারকে মিডিয়াকর্মীদের সম্মুখে হাজির করে এপিবিএন। এসময় সংস্থাটির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁইয়া এবং পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ ঘটনার আদ্যপ্রান্ত সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন।
১০ আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়নের কমান্ডিং অফিসার মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, তরুণীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে যুবক আকাশ তার সাথে অন্তরঙ্গ মূহূর্ত অর্থাৎ নগ্ন ভিডিও মুঠোফোনে ধারন করে। পরবর্তীতে সে ওই ভিডিও হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে তরুণীকে ব্লাকমেইলিং করে আসছিল। এমনকি তরুণীকে ভয়ভীতির ওপর রেখে সে দু’দফা বিকাশের মাধ্যমে তিন হাজার টাকাও হাতিয়ে নেয়। কিন্তু তরুণীর কাছে তৃতীয় দফা ফোন করে টাকা না পাওয়ায় আকাশ সেই নগ্ন ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু এতেই ক্ষ্যান্ত হয়নি যুবক, বরং ভিডিওটি তরুণীর ভাই এবং তার বান্ধবীর ফেসবুক মেসেঞ্জারেও পাঠানো হয়।
এই ঘটনায় তরুণী জাতীয় জরুরিসেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে রাষ্ট্রের কাছে প্রতিকার চাইলে বিষয়টি ১০ এপিবিএন, বরিশালের সাইবার ক্রাইম টিমকে ব্যবস্থাগ্রহণ করতে বলা হয়।
এপিবিএনের অধিনায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, জাতীয় জরুরিসেবা নম্বর থেকে অভিযোগ পেয়ে সহকারি পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার দে’র নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক শাহ মো. ফয়সাল আহম্মেদের নেতৃত্বে পরিদর্শক হারুন অর রশিদসহ একটি টিম যুবককে বুধবারই গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করে। পরে তাকে বৃহস্পতিবার টিমটি গ্রেপ্তারে সফলতা পায়।
এই ঘটনায় সাইবার সন্ত্রাস আকাশের বিরুদ্ধে গাজীপুর সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা এবং পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা আছে। তাকে সেই মামলা সূত্রে গাজীপুরে প্রেরণ করা হবে। পরবর্তীতে সেখানকার পুলিশ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করবে।’
Leave a Reply