স্টাফ রিপোর্টার || বরিশাল সদর উপজেলার ৭৫ নং উত্তর কাউনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসরিনের দুর্নীতির অভিযোগে ক্ষুদ্ধ সচেতন মহল ও অভিভাবকরা। তারা তথ্য প্রমাণসহ বেশ কিছু অভিযোগ করেন সংবাদকর্মীদের কাছে।
অভিযোগ রয়েছে এই প্রধান শিক্ষিকার সাথে বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক লোকজনের সুসম্পর্ক থাকার অযুহাতে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে নিজেকে নিরাপদ রেখেছেন প্রধান শিক্ষক নাসরিন।
অভিযোগ রয়েছে, স্কুলটির স্লিপ ফান্ডের ( School level improovment plan) টাকা অনিয়মের মাধ্যমে খরচ করেছেন এবং ডিজিটাল হাজিরা মেশিন কিনে কথিত উন্নয়ন করেছেন তিনি। এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দিষ্ট নিয়মনীতি থাকলেও সেই নিয়মনীতির কোন তোয়াক্কা না করেই এটিও(সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার) এর যোগসাজশে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন কিনে স্থাপন করেছেন। বর্তমানে সেটি সম্পূর্ণ অকেজো বলে অভিযোগ রয়েছে। মেশিন কেনার ক্ষেত্রে সেটির কোম্পানির তথ্য সংরক্ষণ, দু বছরের গ্যারান্টি/ওয়ারেন্টি থাকতে হবে।থাকতে হবে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি নির্দেশনা দেয়া রয়েছে। এসব কোন নিয়মই মানা হয়নি স্কুলটির হাজিরা মেশিন ক্রয়ের ক্ষেত্রে। মেশিন ক্রয় ও স্কুলটির স্লিপ ফান্ডের টাকা উত্তোলন, খরচ সমন্ধে নাসরিনকে জানতে চাইলে তিনি মেশিন ক্রয়ের জন্য স্থাপনসহ প্রায় ৩৫ হাজার টাকা,লাইব্রেরী স্থাপনের তথ্য দেন।
কিন্তু মেশিনটির ক্রয়, দাম সংক্রান্ত কোন রশিদ, কোম্পানির তথ্য তিনি জানেন না বলে দাবি করেছেন তিনি। বরং সংবাদ প্রকাশে আপত্তি ও এটিওকে দোষারোপ করেন তিনি। শুধু তাই নয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরের স্লিপ ফান্ডের টাকারও ব্যবহার যুক্তিসঙ্গতভাবে পরিবেশন করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি
এ বিষয়ে কথা বলতে ও তথ্য চাইলে রাজনৈতিক ক্ষমতা দেখান ৭৫ নম্বর উত্তর কাউনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসরিন। তিনি বলেছেন ‘ আমার স্কুলে শুধু অনিয়ম দুর্নীতি হয়না,আরও বড় বড় স্কুল ধরুন। আমি কোন তথ্য দেবনা।
পরে আবার বলেন, নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালের তালিকায় এই নাম পেলাম না। তবুও ঝামেলা এড়ানোর জন্য তথ্য দিলাম। ভালো থাকুন। আর হ্যাঁ, আমার স্কুলের সভাপতি সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র। আপনি এলে আগেই আমাকে জানাবেন। নইলে তাকে পাওয়া যাবে না। ‘
Leave a Reply