স্টাফ রিপোর্টার।। বরিশাল নগরীর ২৮নং ওয়ার্ডের কাজী জাকারিয়ার বিরুদ্ধে জাল – জালিয়াতির মামলা। ২৮ নং ওয়ার্ডের বিয়ের কাজী জাকারিয়ার বিরুদ্ধেজাল – জালিয়াতির মামলা করেন , তথ্যসূত্রে জানা যায় মামলার বিবরণ ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ধারায় চহুুত পুরের স্থায়ী বাসিন্দা খালিদ সাইফুল্লাহ বাদী হয়ে ৩১/১০/২০২১ইং তারিখে মামলা করেন মামলার বিবরণে বলা হয় আসামী একজন প্রতারক বিশ্বাসভঙ্গকারী পরধন লোভী আত্মসাৎকারী এবং জাল-জালিয়াতি কাগজ তৈরি ও ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করা তার নেশা ও পেশা আসামি কোতোয়ালি থানাধীন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ৪ নং ওয়ার্ডের আমানতগঞ্জ সাকিনের একজন স্থায়ী বাসিন্দা। পক্ষান্তরে বাড়ি বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ২৮ নং ওয়ার্ডের চহুতপুর সাকিনের একজন স্থায়ী বাসিন্দা ও আইন মান্যকারী লোক বটে। বরিশাল সিটি কর্পোরেশন ২৮ নং ওয়ার্ডের দীর্ঘদিন যাবত নিকাহ রেজিস্ট্রার না থাকায় নিকাহ রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করিলে আসামী ও আমি সহ মোট আটজন উক্ত পদে নিয়োগ প্রাপ্তির নিমিত্তে আবেদন করেন। আমি বিগত ০১/০৭/২০১৭ইং তারিখে আবেদন করি এবং বিগত ১০/০৭/২০১৭ইং তারিখে নিয়োগ পরীক্ষায়আমি অংশগ্রহণ করি। উক্ত ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়োগ এর জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র সহ জেবুন্নেছা আফরোজ সংসদ সদস্য বরিশাল -৫ কতৃক নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়োগ সংক্রান্ত চাহিদাপত্র ডিওলেটার,বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এর ২৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন কর্তৃক বিগত ১৮/০৫/২০১৯ইং তারিখে আমাকে ২৮ নং ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়োগ সংক্রান্ত সুপারিশ পত্র প্রদান করিলে উক্ত সুপারিশ পত্রেপানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব জাহিদ ফারুক এম.পি এর বিগত০৩/০৬/২০১৯ ইং তারিখে স্বাক্ষরিত সুপারিশ পত্র সহ আমি আমার সকল কাগজপত্র জেলা রেজিস্ট্রার বরাবরে জমা প্রদান করার পরে জানতে পারি আসামী জাকারিয়া পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক. এম.পি’র ডিওলেটার সহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্র জেলা রেজিস্ট্রার অফিসে দাখিল পূর্বক আমাদের অজ্ঞাতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অসাধু কর্মচারীদের প্রভাবিত করিয়া বিগত ১২/০৬/২০১৯ ইং তারিখে অবৈধভাবে নিয়োগ গ্রহন করিয়াছেন। আমি বিগত ২০/০১/২০২০ ইং তারিখে রাত অনুমান ০৭.৩০ ঘটিকায় সময় মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ ফারুক এম.পি’র সাথে দেখা করিলে তিনি জানান, তিনি বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ২৮নং ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিস্টার এর নিয়োগের জন্য আসামি কে কোন চাহিদা পত্র ডিওলেটার প্রদান করেন নাই। আসামী উক্তজাল-জালিয়াতিপূর্ণ চাহিদাপত্র (ডিও লেটার) সৃজন করিয়া নিয়োগ প্রাপ্তির পর বাজার থেকে অবৈধ ভাবে সংগৃহিত নিকাহনামায় ১২/০৬/২০১৯ ইং তারিখে ২টি এবং ধারাবাহিকভাবে আরো ২৬টি সহ মোট ২৮টি বিবাহ রেজিষ্ট্রি করেন। জেলা রেজিস্টিার বরিশাল উক্ত বিষয়ে জ্ঞাত হওয়ার পর উক্ত অবৈধ ভলিয়ম জব্দ করিয়া তাহার নিকট রাখেন। আসামির উক্ত প্রতারনা ও জাল-জালিয়াতির বিষয়ে বিগত ১৪/০৬/২০১৯ ইং তারিখে দৈনিক ভোরের অঙ্গিকার, ১৪/১১/২০১৯ ইং তারিখে দৈনিক আজকের পরিবর্তন, ০৪/১১/২০২০ ইং তারিখে দৈনিক আজকের পরিবর্তন ও দৈনিক কির্তন খোলা, ১০/১০/২০২১ ইং ১১/১০/২০২১ ইং তারিখে দৈনিক আমাদের বরিশাল পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এর ২৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ জাহাঙ্গির হোসেন সাবেহ দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকিয়া মৃত্যু বরন করায় উক্ত বিষয়টি বরিশলা সিটি কর্পোরেশন এর ২৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও কাশিপুর বাজার কমিটির সভাপতি মোঃ ফরিদ আহমেদ কে জানাইলে তিনি পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক (এম.পি) মহোদয়ের সাথে যোগাযোগ করিয়া তাহার কথামতো আসামিকে প্রতিমন্ত্রীর প্রাদনকৃত ডিও লেটারের কপিসহ ২৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে উপস্থিত থাকিতে বলিলে আসামী বিগত ২১/১০/২০২১ ইং তারিখে রাত ৮ ঘটিকার সময় বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ২৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অর্থাৎ ১নং স্বাক্ষির কার্যালয়ে উপস্থিত হইয়া তাহার হাতে থাকা ফাইল হইতে প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের জাল স্বাক্ষরকৃত বিগত ০৭/০৪/২০১৯ ইং তারিখের একটি ডিও লেটারের ফটোকপি বাহির করিয়া উপস্থিত স্বাক্ষীগণ ও লোকজনের সামনে ১নং স্বাক্ষী কাউন্সিলরের নিকট প্রদান করেন। কাউন্সিলর সহ উপস্থিত সকলকে উক্ত ডিও লটারে মাননীয় প্রতিমন্ত্রীর স্বাক্ষরটি জাল বলিয়া সুস্পষ্টভাবে প্রতিয়মান হয়।তার নামে প্যাড তৈরি করিয়া নিজের মনগরা বক্তব্য লিখিয়া গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক (এম.পি.) এর স্বাক্ষরের অনুকরনে স্বাক্ষর জাল করিয়া জাল স্বাক্ষর প্রদান করিয়া উক্তা চাহিদাপত্র ডিও লেটার সৃজন করিয়া জেলা রেজিস্টার কার্যালয়ে জমা প্রদান করিয়া অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হইয়া বাজার হইতে অবৈধভাবে নিকাহনামা কাগজ সংগ্রহ পূর্বক বিবাহ রেজিস্ট্রি করায় আসমী দন্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারায় অপরাধ করিয়াছেন। উপরোক্ত ঘটনার অকেন স্বাক্ষী আছেন বলে প্রতীয়মান হয়।
Leave a Reply