পটুয়াখালী জেলার আন্ধারমনিক নদীর ঢেউয়ের তান্ডবে নিজামপুর গ্রামের বাঁধে ভাঙন পটুয়াখালী জেলার আন্ধারমনিক নদীর ঢেউয়ের তান্ডবে নিজামপুর গ্রামের বাঁধে ভাঙন – ajkalbd24.com
  1. admin@ajkalbd24.com : admin : H.M Aslam
  2. akazadjm@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  3. ajkalbd24.com@gmail.com : ajkalbd24 : Niaz Mohammad
  4. hafijakhan804@gmail.com : ajkal1 : ajkal1
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০২:২১ পূর্বাহ্ন

পটুয়াখালী জেলার আন্ধারমনিক নদীর ঢেউয়ের তান্ডবে নিজামপুর গ্রামের বাঁধে ভাঙন

আজকাল ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ১৮৪ সময় দর্শন

পটুয়াখালী জেলার আন্ধারমনিক নদীর ঢেউয়ের তান্ডবে নিজামপুর গ্রামের বাঁধে ভাঙন

আজকাল ডেস্ক।। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মহিপুরের নিজামপুর গ্রামে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধটির নির্মান কাজ শেষ হওয়ার এক বছর যেতে না যেতেই ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। অমাবস্যা-পূর্ণিমা কিংবা জোয়ারে আন্ধারমনিক নদীর উত্তাল ঢেউ আছড়ে পরছে বাঁধের উপর।

প্রতিনিয়তই ভাঙ্গছে এ বাঁধটি। এর ফলে পাঁচটি গ্রামের হাজার হাজার কৃষক পুনরায় পানিবন্দিসহ আর্থিক ক্ষতির শংকায় রয়েছে। গত কয়েক দিনের অস্বাভাবিক জোয়ারের তান্ডবে প্রায় দু’কিলোমিটার জুড়ে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর ঘূর্নিঝড় সিডরে উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের নিজামপুর গ্রামের পাউবো’র ৪৭/১ পোল্ডারের বেরিবাঁধের বিভিন্ন অংশে ভাঙ্গন দেখা দেয়। এর পর ২০০৮ ঘূর্নিঝড় নার্গিস, ২০০৯ আইলা, ২০১৩ মহাসেন, ২০১৫ কোমেন, ২০১৬ রোয়ানু, ২০১৭ মোরা, ২০১৯ ফণী ও বুলবুল এর তান্ডবে নিজামপুর বাঁধটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

বেশ কয়েকবার সংস্কারসহ তিনবার পূন:নির্মান হলেও সাগর মোহনা আন্ধারমানিক নদীর অস্বাভাবিক উচ্চতার জোয়ারে পানি ভাঙ্গন কবলিত অংশ দিয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করে। দফায় দফায় প্লাবিত হয় ওই ইউনিয়নের পুরান মহিপুর, ইউসুফপুর, নিজামপুর, কোমরপুর ও সুধিরপুর গ্রামের বসত বাড়ি ঘর সহ অন্ততঃ তিন হাজার একর ফসলি জমি।

দীর্ঘ ১২ বছরেও কাঙ্খিত ফসল পায়নি কৃষকরা। এছাড়া বন্ধ হয়ে যায় বাঁধ সংশ্লিষ্ট একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে নদী ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্মাণ করে দেয় রিং বেরিবাঁধ। সর্বশেষ এ বছরে আম্ফান ও গত কয়েক দিনের অস্বাভাবিক জোয়ারের তান্ডবে এ বাঁধটির বিভিন্ন স্থান ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

এ বাঁধের উপর দাঁড়িয়ে কৃষক আলতাফ শরীফ দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন, এক সময় আমাদের অনেক চাষের জমি ছিল। সবই এই নদীতে গেছে। এ বাঁধটি ছুটে গেলে যাওয়ার আর কোন জায়গা থাকবেনা।

একই এলাকার কৃষক সালাউদ্দীন রাড়ী বলেন, আন্ধারমানিক নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের তান্ডবে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। নদীর পানির চাপ বাড়লে এ বাঁধটি যে কোন মুহুর্তে ছুটে যেতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন।

নিজামপুর গ্রামের বাসিন্দা জয়নুল আবেদীন বলেন, সিডরের পর থেকে পাঁচ গ্রামের মানুষ দশ বছর যাবৎ জমিতে কোন চাষ করতে পারিনি। এর পর পানি উন্নয়ন বোর্ড জনগনের দূর্ভোগ লাগবে এখানে রিং বেরিবাঁধ করে দেয়। কিন্তু আন্দারমানিক নদীর কয়েক দিনের অস্বাভাবিক জোয়ারের তান্ডবে এ বাঁধটি আবার ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক বছর ধরে চাষ শুরু করছি।

এখন আবার নতুন করে আতঙ্কে ভুগছি।
মহিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ ছালাম আকন বলেন, এ এলাকার বেশিরভাগ মানুষই মৎসজীবী। আবার কেউ কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। শুধু অমাবস্যা-পূর্ণিমাই নয়, জোয়ার ভাটার সাথে যুদ্ধ করেই বেঁচে থাকতে হয় তাদের।

পূর্বের বেবিবাঁধ নেই। এখানে সাড়ে আটশ মিটার রিং বেরিবাঁধ হয়েছে। তাও আবার আম্ফান ও অস্বাভাবিক জোয়ারের তান্ডবে ক্ষত বিক্ষত করে ফেলছে। এর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দ্বারে দ্বারে গিয়ে আমি অনেক বার ঘুরেছি। অবহেলিত এ জনপদের নিজামপুর গ্রামের তিন কিলোমিটার বেরিবাঁধ নতুন ভাবে করার জন্য তিনি প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়া জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মো.ওয়ালিউজ্জামান বলেন, নিজামপুরের রিং বেরিবাঁধটি সরজমিনে পরিদর্শন করেছি। যে বরাদ্ধ দেয়া হয় তা দিয়ে কোন রকমের কাজ করা সম্ভব। সাগর মোহনায় ব্লকসহ পুর্নাঙ্গ বেরিবাঁধ করা দরকার। এর জন্য প্রকল্প তৈরি করে মন্ত্রনালয় পাঠানো হয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর