আজকাল ডেস্ক।। পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে করোনা উপসর্গ নিয়ে ২ পল্লী চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশের সহায়তায় সমাহিত করা হয়। নিহত পল্লী চিকিৎসক সহোদর সুনিল দাস (৬৫) ও নির্মল দাস (৬০) উপজেলার পর্ত্তাশি ইউনিয়নের চারাখালী গ্রামের মৃত অহিভুষন দাসের পুত্র। তারা উপজেলা সদরের পল্লী চিকিৎসক ছিলেন।
জানা গেছে, করোনার উপসর্গ নিয়ে মঙ্গলবার (১৬জুন) রাতে সুনিল দাসের মৃত্যু হয়। তার মৃতের পর পরিবারের কেউ বা স্থাণীয় কাউকে না পাওয়ায় থানা পুলিশ তাকে সমাহিত করেন।
ইন্দুরকানী থানা পুলিশের অফিসার ইন চার্জ মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, ‘ওই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইন্দুরকানী বাজারের পল্লী চিকিৎসক সুনিল দাসের মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর খবর ৯৯৯ থেকে আমাকে জানানো হয়। পরে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে খোঁজ নিয়ে জানতে পাই তার মরদেহ পত্তাশি ইউনিয়নের চারাখালীর ছয়ঘর চৌরাস্তা নামক স্থানে ফেলে রাখা আছে। পরে সেখানে গিয়ে পুলিশের ৩ এসআই সহ ৭ পুলিশ সদস্য তার লাশ কাঁদে করে প্রায় ২ কিমি হেটে বাড়িতে নিয়ে যায়। ওই রাতে প্রচন্ড বৃষ্টিতে তার কবর খোঁড়া সহ সমাহিত করার সকল কাজই আমাদের করতে হয়েছে। এ সময় তার পরিবারের সদস্য সহ বাড়ির আশে-পাশের সহ স্থাণীয় কাউকে ডেকেও পাওয়া যায় নি।
জানা গেছে, ওই পল্লী চিকিৎসকের মৃত্যুর ৬ দিন আগে করোনার উপসর্গ নিয়ে তার ছোটভাই নির্মল দাসের মৃত্যু হয়। তারা উভয়েই ইন্দুরকানী উপজেলা সদর বাজারে একই দোকান ঘরের পাশাপাশি পল্লী চিকিৎসক হিসাবে কাজ করতেন। তারা উভয়েই একই সাথে জ্বর, সর্দি সহ করোনার উপসর্গ নিয়ে ভুগছিলেন।
জেলা হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. ইউসুফ হাসনাত জাকী জানান, করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া পল্লী চিকিৎসক সুনিল দাসের ছোট ভাই নির্মল দাস ও করোনা উপসর্গ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার (১১জুন) রাতে মৃত্যু হয়। তার (ছোট ভাই) মৃত্যুর পর ওই পরিবারের ৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে বরিশাল পাঠনো হয়। এর মধ্যে ছোট ভাই মৃত্যু নির্মলের স্ত্রী ও পুত্রের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
Leave a Reply