নিজস্ব প্রতিবেদক ::: বামনা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোর্শেদ শাহরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন হোসেন জনির বরগুনা আদালতের হাজতখানায় থাকা অবস্থায় তোলা সেলফি ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় বেশ তোলপাড় চলছে।বুধবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে ছাত্রলীগ সভাপতি তার ফেসবুক আইডিতে কারাগারে তোলা তিনটি ছবি পোস্ট করার পরই ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। ওই পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লিখেন, ‘নৌকার নির্বাচন করতে গিয়ে কারাবরণ করতে হলো আমাদের’।
ছবিতে দেখা যায়, প্রথম ছবিটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার মধ্যে বসেই তুলেছেন সভাপতি শাহরিয়া, তার সাথে রয়েছেন সাধারণ সম্পাদক জনি। বাকি দুটি ছবির একটি তুলেছেন হাজতখানার মধ্য থেকে, আর একটি ছবি তুলেছেন আদালতের বিচারকের এজলাসের কাঠগড়ায়।
এ বিষয়ে আদালতের কোর্ট ইন্সপেক্টর মারুফ আহমেদ বলেন, আদালতের বাইরে থেকে তার সমর্থকরা গোপনে ছবি তুলে নিয়ে যেতে পারেন। তবে হাজতখানার ভেতরে মোবাইল নিয়ে সেলফি তোলার কোনো সুযোগ নেই।এ সময় আদালতের হাজতখানার মধ্যে তোলা সেলফি তাকে দেখানো হলে এ বিষয়ে তিনি বলেন, হাজতখানার দায়িত্বে যেসব পুলিশ সদস্যরা ছিলেন, তাদের গাফিলতি থাকতে পারে। এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে মামলার বাদি তারিকুজ্জামান সোহাগ বলেন, আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় আদালতের এজলাস থেকে শুরু করে হাজতখানার মধ্যেও মোবাইল নিয়ে সেলফি তুলেছেন। ফেসবুকে আবার সেসব ছবি পোস্ট করেছেন। আমি এখন অনিরাপদ রয়েছি। অবশ্যই এসব বিষয় প্রশাসন বিবেচনা করবেন।
উল্লেখ্য যে, প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী প্রচারণার সময় বরগুনার বামনা উপজেলার বামনা সদর ইউনিয়ন পরিষদের স্বতন্ত্র প্রার্থী তারিকুজ্জামান সোহাগ ও বামনা উপজেলা ছাত্রলীগের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত শতাধিক কর্মী আহত হন। সে সময় পুলিশের করা মামলায় কারাগারে যান স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহাগ। পরে তার স্ত্রীর সহায়তায় সেখানে থেকেই বামনা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন হোসেন জনিকে প্রধান আসামি ও সভাপতি মোর্শেদ শাহরিয়াকে দুই নম্বর আসামি করে ২৭জনের নামে মামলা করেন সোহাগ। সেই মামলায় আজ তাদের দুজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বামনার বিচারক মো: রাসেল মজুমদার।
Leave a Reply