চেকপোস্টে মামলা দেওয়ায় মোটরসাইকেল পোড়ালেন যুবক চেকপোস্টে মামলা দেওয়ায় মোটরসাইকেল পোড়ালেন যুবক – ajkalbd24.com
  1. admin@ajkalbd24.com : admin : H.M Aslam
  2. akazadjm@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  3. ajkalbd24.com@gmail.com : ajkalbd24 : Niaz Mohammad
  4. hafijakhan804@gmail.com : ajkal1 : ajkal1
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০৮:২২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বরিশালের সিভিল সার্জন ও বিভাগীয় পরিচালক স্বাস্থ্যর বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরন বরিশালে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সদস্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৪ কর্মকর্তা বরখাস্ত আন্দোলনকারীরা ‘শাটডাউন’ করুক, কোনো বৈঠক হবে না: অর্থ উপদেষ্টা ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত বাতিল ‘গণঅভ্যুত্থান দিবস’ ৫ আগস্ট, ‘জুলাই শহীদ দিবস’ ১৬ জুলাই ছাত্রলীগ সভাপতি সুমনের নেতৃত্বে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও ভিডিও করা হয় গণতন্ত্র বাঁচাতে জিয়া কমিশন গঠন জরুরি দ্বিতীয় দিনের মতো এনবিআরে শাটডাউন চলছে, রাজস্ব আদায় ব্যাহত গভীর রাতে ঘর থেকে বের করে ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা

চেকপোস্টে মামলা দেওয়ায় মোটরসাইকেল পোড়ালেন যুবক

আজকাল ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ৮ আগস্ট, ২০২২
  • ১০৫ সময় দর্শন

রাজশাহীতে সড়কে মোটরবাইক আটকানোর প্রতিবাদে আশিক আলী (২৫) নামে এক যুবক তার নিজের বাইকে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর কোর্ট অকট্রয় মোড় এলাকায় ওই যুবক এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন।আশিকের বাড়ি মহানগরীর উপকণ্ঠ কাঁঠালবাড়িয়া এলাকায়। বাবার নাম আসাদ আলী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আশিক আলী পেশায় একজন বালু ব্যবসায়ী। তিনি ভারতীয় ব্রান্ডের টিভিএস অ্যাপাচি আরটিআর-১৬০ সিসির একটি বাইক ব্যবহার করতেন। ছয় মাস আগে টিভিএসের রাজশাহীর পরিবেশকের কাছ থেকে তিনি নতুন বাইকটি কেনেন। আগুন লাগানোর আগে আশিকসহ তিনজন বাইকে চড়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় আশিকের মাথায় হেলমেট ছিল না।

কোর্ট অকট্রয় মোড়ে এ সময় রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট আবদুল কাইয়ুম দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি বাইকটি থামিয়ে কাগজপত্র চান। এছাড়া তিনজন নিয়ে বাইক কেন চালাচ্ছেন এবং হেলমেট নেই কেন- জানতে চান সার্জেন্ট কাইয়ুম। বিষয়টি নিয়ে এ সময় আশিক সার্জেন্ট কাইয়ুমের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন আশিক। এর একপর্যায়ে তিনি বাইকে আগুন জ্বালিয়ে দেন। পরে স্থানীয়রা পানি দিয়ে আগুন নেভান। তবে আগুনে বাইকটি পুড়ে গেছে।

এ সময় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন আশিকের বাবা আসাদ আলী। এরপর আশিক ও তার বাবাকে পুলিশের গাড়িতে তুলে ট্রাফিক অফিসে নেওয়া হয়।

আশিক আলী বলেন, ছয় মাস আগে তিনি নতুন বাইকটি কিনেছেন। এখনো নিবন্ধন হয়নি। এই ছয় মাসে ট্রাফিক পুলিশ তাকে পাঁচ-ছয়টি মামলা দিয়েছে। তিনি প্রায় ৪০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছেন। সার্জেন্ট কাগজ চাইলে তিনি বাড়ি থেকে এনে দেখাতে চান কিন্তু সার্জেন্ট তাকে সময় দিতে চাননি। তাই তিনি বাইকে আগুন দিয়েছেন।

ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত সার্জেন্ট আবদুল কাইয়ুম বলেন, সড়ক আইন লঙ্ঘন করে আশিক আলী বাইকে তিনিসহ আরও দুজনকে তুলেছিলেন। কারও মাথায় হেলমেট ছিল না। সে জন্য থামানো হয়। এ সময় কাগজপত্র চাইলে তিনি সেটিও দিতে পারেননি। তাই গাড়িটি জব্দ করে ট্রাফিক অফিসে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। তখনই রেগে গিয়ে তিনি বাইকটির তেলের ট্যাংকির সংযোগ খুলে আগুন ধরিয়ে দেন।

আরএমপির মুখপাত্র রফিকুল আলম বলেন, ট্রাফিক নিয়ম না মানার কারণে মামলা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। এ কারণে বাইকটিও জব্দ করা হচ্ছিল। তখনই আশিক বাইকটিতে আগুন দিয়েছেন। ঘটনার কিছুক্ষণ পর সেখানে আশিকের বাবা উপস্থিত হন। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, তার ছেলের মাথা গরম। যখন তখন যা তা করেন। কিছুটা মানসিক সমস্যাও রয়েছে।

আশিক আলী ও তার বাবা আসাদ আলীকে ট্রাফিক অফিসে কেন নিয়ে যাওয়া হয়েছে- জানতে চাইলে রফিকুল আলম বলেন, এটা আমি জানি না। ঘটনা সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানার জন্য তাদের নিয়ে যেতে পারেন। তাদের সঙ্গে হয়তো কথা বলার জন্যই ট্রাফিক অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর